মন ভাল নেই মদনের

হাসপাতাল বলছে শারীরিক ভাবে ভাল আছেন মদন মিত্র। কিন্তু মন ভাল নেই পরিবহণ মন্ত্রীর। ঘুম নেই চোখে, ভাল করে খাবারও খাচ্ছেন না।  গতকাল রাতেও  বার পাঁচেক ধরফর করে উঠে বসেছেন  হাসপাতালের  বেডে।  আজ দিনভর তাঁকে দেখাল ক্লান্ত, বিধ্বস্ত।

Updated By: Nov 22, 2014, 07:42 PM IST
মন ভাল নেই মদনের

কলকাতা: হাসপাতাল বলছে শারীরিক ভাবে ভাল আছেন মদন মিত্র। কিন্তু মন ভাল নেই পরিবহণ মন্ত্রীর। ঘুম নেই চোখে, ভাল করে খাবারও খাচ্ছেন না।  গতকাল রাতেও  বার পাঁচেক ধরফর করে উঠে বসেছেন  হাসপাতালের  বেডে।  আজ দিনভর তাঁকে দেখাল ক্লান্ত, বিধ্বস্ত।

সকাল ৭টা

ঘুম থেকে উঠে শুধু চা আর দুটো বিস্কিট।  ফিরিয়ে দিলেন বাড়ি থেকে আসা ব্রেকফাস্ট।

সকাল  ১১টা ২০

উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেড়িয়ে এলেন মদন মিত্র। চোখে মুখে ক্লান্তি। ঘুম হয়নি সারা রাত। চিকিত্সার পরিভাষায় স্লিপ অ্যাপিনিয়া।  

রাতে পলিসমনোগ্রাফি পর্যবেক্ষণে ছিলেন মদন মিত্র। অর্থাত্ তিনটি ক্যামেরায় রাতভর নজরবন্দি ছিলেন । ডাক্তাররা জানাচ্ছেন ভয় আতঙ্কে রাতে পাঁচ বার উঠে বসেছেন তিনি।

সকাল ১১ -২৫

নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যালার্জি টেস্ট ল্যাবে। দীর্ঘ মেয়াদি চিকিত্সার আগে ড্রাগ অ্যালার্জির পরীক্ষা হয় এখানে। এছাড়াও দু ঘণ্টা ধরে চলে USG, MRI, স্পাইরোমেট্রি পরীক্ষা।

দুপুর ১ -২০
অ্যাম্বুলেন্সে করে ফিরে এলেন মদন মিত্র। হাসপাতালের কর্মী ইউনিয়নের  নেতারা প্রাণপন চেষ্টা করলেন ক্যামেরা থেকে মদন মিত্রকে বাঁচাতে।

এসবের ফাঁকেই হালকা করে মুখ খুললেন না এমন নয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ধরে রাখা সেই কনফিডেন্সটা কই? সৃঞ্জয় গ্রেফতারের পর তা উধাও।

দুপুর ২টা ৪৫
বৈঠক বসল হাসপাতাল ডিরেক্টরের ঘরে। তারপর মন্ত্রীকে দেখে এলেন ডিরেক্টর। তারপরই জানিয়ে দিলেন, শরীরের যা অবস্থা, সিবিআই জেরা করতেই পারে। চাপ বোধহয় আরও বেড়ে গেল।

দুপুর ৩টে ৩৫
 খাবারে রুচি  নেই পরিবহ মন্ত্রীর।  বাড়ি থেকে আনা ডাল-ভাত খেলেন। ছুঁয়ে  দেখলেন না উচ্ছে সেদ্ধ, পেপের তরকারি। চুপচাপই ছিলেন। একবার শুধু  ছায়াসঙ্গী রঞ্জিতের কাছে  জানতে চাইলেন  কর্মিসভার খবর।

গত বছর সভায় যাবতীয় দায়িত্ব ছিল তার ।  আশা ছিল আ আজ দিদির ফোন আসবে। বিকেল পর্যন্ত আসেনি।

.