আজ ধর্মঘট সফলের লক্ষ্যে নামবে বামেরা, সচল রাখতে তৎপর রাজ্য সরকার

নতুন শ্রম ও কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আগাগোড়াই সরব শ্রমিক সংগঠনগুলি।

Updated By: Nov 26, 2020, 12:21 AM IST
আজ ধর্মঘট সফলের লক্ষ্যে নামবে বামেরা, সচল রাখতে তৎপর রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়া শ্রম ও কৃষি আইনের প্রতিবাদ। সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের বিরোধিতা। আজ, বৃহস্পতিবার দশ শ্রমিক সংগঠনের ডাকে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট। ইস্যুকে সমর্থন করলেও ধর্মঘটে সায় নেই তৃণমূলের। মোদীকে তুষ্ট করতেই এই পন্থা, কটাক্ষ বামেদের। বৃহস্পতিবার রাজ্য সচল রাখতে তত্পর প্রশাসন। 

নতুন শ্রম ও কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আগাগোড়াই সরব শ্রমিক সংগঠনগুলি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ। বিরোধিতায় সাধারণ ধর্মঘটে দশটি শ্রমিক সংগঠন। তাদের আরও দাবি, কর দিতে হয় না এমন পরিবারগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিতে হবে সাড়ে সাত হাজার করে টাকা। দরিদ্র পরিবারগুলিকে মাসে দশ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য, বছরে ২০০ দিনের কাজ ও সকলের জন্য পেনশনেরও দাবি তুলে পথে প্রতিবাদে শ্রমিক সংগঠনগুলি। ১০ শ্রমিক সংগঠনের জয়েন্ট কমিটির ডাকা এই ধর্মঘট নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বামেরা।

রাজ্য সচল রাখতে তত্পর প্রশাসন। খোলা থাকবে সব অফিস। অন্যদিনের মতোই চলবে বাস, ট্রাম, লঞ্চ।  সব জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন মুখ্যসচিব। ধর্মঘটে অশান্তি ঠেকাতে তৈরি পুলিসও। পথে থাকছে কলকাতা পুলিসের পাঁচ হাজার কর্মী। শহরের চল্লিশটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকছে পুলিস পিকেট। নজরদারিতে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা। বিশেষ নজর থাকছে PTS, মেয়ো রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, হেস্টিংস, স্ট্র্যান্ড রোড, যাদবপুর 8B বাসস্ট্যান্ডে। মোতায়েন থাকছে দশটি QRT ও আটটি HRFS. চলবে ড্রোনে নজরদারি। লালবাজারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিমা সংস্থাগুলি জানিয়েছিল ধর্মঘটে গাড়ি বের করার পর ভাঙচুর হলে ক্ষতিপূরণ দিতে তারা বাধ্য নয়। রাজ্য পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ দিতে এবার বিমা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হবে. বাসকর্মীদের জন্য টোল ফ্রি নম্বর চালু হয়েছে। এই নম্বরে ফোন করে বাসে হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করতে হবে। 

 

 

.