তোলা দিতে অস্বীকার করায় নরেন্দ্রপুরে খুনের চেষ্টা আইনজীবীকে
তোলা দিতে অস্বীকার করায় খুনের চেষ্টা হল এক আইনজীবীকে। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুরের কামরাবাদে। বিভিন্ন বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করাই তাঁকে দুষ্কৃতীদের বিষনজরে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওই আইনজীবীর। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ছ-দিন হাসপাতালে কাটিয়ে এযাত্রায় বাড়ি ফিরেছেন। পুলিস কোনও ব্যবস্থা না নিলে এরপর কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। ঘটনার পর দু-সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি একজনও।
নরেন্দ্রপুর: তোলা দিতে অস্বীকার করায় খুনের চেষ্টা হল এক আইনজীবীকে। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুরের কামরাবাদে। বিভিন্ন বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করাই তাঁকে দুষ্কৃতীদের বিষনজরে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওই আইনজীবীর। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ছ-দিন হাসপাতালে কাটিয়ে এযাত্রায় বাড়ি ফিরেছেন। পুলিস কোনও ব্যবস্থা না নিলে এরপর কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। ঘটনার পর দু-সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি একজনও।
যে কোনও মুহুর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন। এই আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই আপাতত দিন কাটাচ্ছেন নরেন্দ্রপুরের কামরাবাদের বাসিন্দা উত্তম হালদার। পেশায় আইনজীবী উত্তমবাবুর কাছে হুমকি-শাসানি নতুন নয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গত আঠাশে জুন প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর ওপর হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল। দাবিমতো টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুধু লোহার রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে পিটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা। উত্তম হালদারকে পাশের একটি পুকুরে ফেলে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ।
গুরুতর আহত অবস্থায় ছ-দিন হাসপাতালে থাকার পর ছাড়া পান উত্তম হালদার। সোনারপুর থানায় চার জনের নামে এফআইআর করেছেন ওই আইনজীবী। লুঠপাট, মারধর, খুনের চেষ্টা, ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। হামলার দিন পকেটে থাকা ছ-হাজার টাকা ছাড়াও তাঁর সোনার চেন-আংটি লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উত্তম হালদার। কিন্তু কেন তিনি দুষ্কৃতীদের এতটা চক্ষুশূল হয়ে উঠলেন?
যখন হাসপাতালে ছিলেন বড়ির লোকজনের হুমকি শুনতে হত। বাড়ি ফেরার পরেও প্রতিনিয়ত আসছে হুমকি। পুলিস-প্রশাসন কবে ব্যবস্থা নেয়, আপাতত তার অপেক্ষায় বসে এই আইনজীবী।