বিধানসভায় সংশোধিত ভূমিসংস্কার বিল পাস

বিধানসভায় ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে পাস হল জমির ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে `দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস্ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১২` এই বিতর্কিত বিলটি। এদিন বিল পেশের সঙ্গে সঙ্গেই  বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র আরও আলোচনার জন্য বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন।

Updated By: Apr 2, 2012, 12:05 PM IST

বিধানসভায় ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে পাস হল জমির ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে `দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস্ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১২` এই বিতর্কিত বিলটি। এদিন বিল পেশের সঙ্গে সঙ্গেই  বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র আরও আলোচনার জন্য বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব অবশ্য মেনে নেয়নি সরকার। এরপরই সংশোধনী বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো নিয়ে একটি ভোটাভুটি হয়।
বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষে ভোট পড়ে ৪৬টি। বিপক্ষে ১৫২টি। বিধানসভায় সূর্যকান্ত মিশ্র সহ বিরোধীরা বলেন, ''যেভাবে বহুক্ষেত্রে জমির ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা। এমনকী হাত পড়বে কৃষি জমিতেও।'' অন্যদিকে সরকারের যুক্তি, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোনও ভাবেই কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হবে না। ফলে বিরোধীদের এই দাবি অযৌক্তিক। বিলে নির্দিষ্ট করা ছিল না ২৪ একরের পরিবর্তে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে জমির ঊর্ধ্বসীমা কত হবে?
শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ''প্রতিটি ক্ষেত্র আলাদা আলাদা করে বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। বিলে জমির এই ঊর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রেই কিছু ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব, বিদ্যুত্‍ ক্ষেত্র, বিদ্যুত্‍ সাবস্টেশন, বিমান বন্দর, পর্যটন শিল্প, মেডিকেল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে জমির ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এই বিলে। বিরোধীদের বক্তব্য, এই বিলে  কৃষিজমি রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই বিল এনেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত বিল পেশের পদ্ধতির প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বাম বিধায়করা। সোমবার মহিলা আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত পঞ্চায়েত বিলটি বিধানসভায় পেশ করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, ১২ পাতার এই বিলটি নিয়মের তোয়াক্কা না করে পাস করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেকারণেই তাঁদের এই প্রতিবাদ। যদিও বিরোধীদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও সরব ছিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। 

.