দরজায় হাত আটকে সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যুর দায় যাত্রীর, তদন্ত রিপোর্ট মেট্রোর
গত ১৩ জুলাই সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যায় সজল কাঞ্জিলালের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেট্রোয় হাত আটকে মৃত্যুর দায় যাত্রীরই। তাঁর গাফিলতিতেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যুর ঘটনায় এমন রিপোর্টই দিলেন কমিশনার অফ মেট্রো রেলওয়ে সেফটি। ফলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন না মৃতের পরিবার।
গত ১৩ জুলাই সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যায় সজল কাঞ্জিলালের। কিন্তু খোলেনি স্বয়ংক্রিয় দরজা। ওই অবস্থাতেই এগোতে থাকে ট্রেন। টানেলে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় সজলবাবুর। পার্ক-স্ট্রিট স্টেশনে নজিরবিহীন দুর্ঘটনার দায় কার? ২ মাস ধরে ঘুরে ফিরে এসেছে প্রশ্নটা। শেষমেশ সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দায় চাপল মৃত যাত্রীর ঘাড়েই।
দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়া, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মেট্রো কর্তৃপক্ষের বয়ান রেকর্ডের পর কমিশনার অফ মেট্রো রেলওয়ে সেফটি যে রিপোর্টে দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, যাত্রীর অসতর্কতার জন্যই ১৩ জুলাই দুর্ঘটনা যেহেতু যাত্রীকেই দোষী বলা হচ্ছে, তাই সজলবাবুর পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণও পাবেন না। কিন্তু গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় বারবার যে মেট্রোর চালক, মোটরম্যানের বিরুদ্ধে বারবার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, এই রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই।
যদিও কমিশনার অফ মেট্রো রেলওয়ে সেফটির এই তদন্ত নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মেট্রোয় দুর্ঘটনার তদন্ত, অথচ সাক্ষীরা সবাই মেট্রোরই কর্মী অথবা আধিকারিক। ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শীই তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হননি। ফলে, তদন্ত রিপোর্টও একতরফা হয়ে গেল না তো? মৃতের পরিবার মেট্রোর রিপোর্ট মানতে অস্বীকার করেছে। বিহিত চাইতে তাঁরা দ্বারস্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বীরভূমের দেউচা চালু হলে চাঙ্গা হবে অর্থনীতি: মমতা