লাভপুর হত্যা মামলায় নয়া মোড়, চাপের মুখে মনিরুল ইসলাম
তিন মাসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য রাজ্য পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বীরভূম পুলিস সুপারের নজরদারিতে হবে তদন্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাভপুর হত্যা মামলায় নয়া মোড়। নয় বছর আগের প্রথম তদন্তকারী আধিকারিককেই আবার তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কার্যত কবর খুঁড়ে বার করা হল এই মামলাকে। আর তাতেই অস্বস্তি বাড়ল এই মামলার মূল অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের।
তিন মাসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য রাজ্য পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বীরভূম পুলিস সুপারের নজরদারিতে হবে তদন্ত। পাশাপাশি হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, ‘সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প ২০১৮’ অনুযায়ী মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
NRC নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় একযোগে প্রস্তাব আনছে সরকার, বাম ও কংগ্রেস
২০১০ সালের ৩ জুন লাভপুরে খুন হন ধানু শেখ,কাটুন শেখ এবং তুরুক শেখ নামে তিন ভাই। ঘটনায় মনিরুল ইসলাম সহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। মামলা ওঠে নিম্ন আদালতে। তারপরই নিহত তিন জনের বাকি দুই ভাই বলেন, খুনের ঘটনায় মনিরুল ইসলামরা জড়িত নন। এরপর মনিরুল-সহ সকল অভিযুক্ত মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেয় আদালত।
এরপরই নিহতদের ভাই জামাল শেখ অভিযোগ করেন, কার্যত চাপের মুখে পড়েই এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পুনরায় তদন্তের জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন করেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। আবেদন খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। জামাল শেখ ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ন’বছর পর ফের হাইকোর্টে কবর খুঁড়ে বার করা হয় এই মামলা।