কোরপান শাহ হত্যা: চিহ্নিত ১২ জন ডাক্তারির ছাত্র
কোরপান শাহ হত্যাকাণ্ডে বারোজন ডাক্তারি ছাত্রকে চিহ্নিত করলেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি আজ আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ধৃত ছাত্র জসিমুদ্দিন। তদন্তে এই জবানবন্দি প্রধান প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ষোলই নভেম্বর NRS মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হোস্টেন পিটিয়ে খুন করা হয় কোরপান শাহকে। অবশেষে এই নৃশংস হত্যায় যুক্ত মূল বারো জনকে চিহ্নিত করল লালবার। কিন্তু কেন এত দেরি হল পুলিসের?
কলকাতা: কোরপান শাহ হত্যাকাণ্ডে বারোজন ডাক্তারি ছাত্রকে চিহ্নিত করলেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি আজ আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ধৃত ছাত্র জসিমুদ্দিন। তদন্তে এই জবানবন্দি প্রধান প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ষোলই নভেম্বর NRS মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হোস্টেন পিটিয়ে খুন করা হয় কোরপান শাহকে। অবশেষে এই নৃশংস হত্যায় যুক্ত মূল বারো জনকে চিহ্নিত করল লালবার। কিন্তু কেন এত দেরি হল পুলিসের?
লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার সময় ৩৫ থেকে ৪০জন কোরপান শাহকে ঘিরে ছিল। এদের মধ্যে কারা আসল অভিযুক্ত তা নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিস। সে দিন ঠিক কাদের হাতে লাঠি বা বাঁশ ছিল তা খুঁজতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় গোয়েন্দাদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা অধিকাংশই পুলিসের কাছে মুখ খোলেননি। অভিযুক্তরাও নানা ভাবে বিভ্রান্ত করেছে পুলিসকে।
এন্টালি থানা থেকে তদন্তভার লালবাজারে যাওয়ার পরেই জেরায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্তরা। তখনই ধীরে ধীরে বিষয়টি স্পষ্ট হয় গোয়েন্দাদের কাছে। ঠিক কারা সেদিন কোরপান শাহকে মারধর করেছিলেন তা নিয়ে নিশ্চিত হন তাঁরা।
চিহ্নিত ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন এনআরএসের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র। তালিকায় আছেন তৃতীয় বর্ষের ৬ থেকে ৭ জন। তালিকায় বাকিরা ইন্টার্ন।
গোয়েন্দাদের দাবি তদন্তভার লালবাজারের হোমিসাইড শাখার হাতে যেতেই পুরোপুরি ভেঙে পড়ে ধৃত জসিমুদ্দিন। তাঁকে আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন জসিমুদ্দিন। গোয়েন্দাদের আশা এই জবানবন্দিই ভবিষ্যতে কোরপান হত্যা তদন্তে প্রধান প্রমাণ হয়ে উঠবে।