কলকাতার সাট্টাবাজারেও গেরুয়া ঝড়, মোদীর দর ১৮ পয়সা
ওই সাট্টাবাজারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা জানালেন, যাঁর জেতার সম্ভাবনা যত বেশি, তার রেট তত কম।
কমলিকা সেনগুপ্ত
দিল্লির মসনদে কে বসবেন? বাংলা থেকেই বা কোন দল কতগুলি আসন পাবে? এক্সিট পোলের মতো অনুমান শুরু হয়েছে কলকাতার সাট্টাবাজারেও। বিজেপি, তৃণমূল, নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীদের জন্য আলাদা আলাদা দরও নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর তার ভিত্তিতেই চলছে বাজি ধরা।
কলকাতার সাট্টাবাজারের অলিগলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেখানেও এবার গেরুয়া ঝড়। তারা বাংলায় বিজেপিকে ১১-১৩টি আসন দিচ্ছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে দিচ্ছে ২৫-২৮টি আসন। বিজেপি বা তৃণমূলের পক্ষে ধরা বাজি মিলে গেলে লাভ হবে দ্বিগুণ। সাট্টাবাজারের ভাষায় যাকে বলে ‘এক কা দো’।
আরও পড়ুন: সল্টলেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বাড়িতে ঢুকে 'হামলা'
ওই সাট্টাবাজারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা জানালেন, যাঁর জেতার সম্ভাবনা যত বেশি, তার রেট তত কম। যেমন নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দর ১৮ পয়সা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের দর ৭টাকা। আর রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দর ৫ টাকা।
রবিবার শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। তার পর সন্ধ্যা থেকে সংবাদমাধ্যম সামনে এনেছে এক্সিট পোল। তাতে ফের এনডিএ সরকারের ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কারও বক্তব্য ছিল যে আগেরবারের তুলনায় দুর্বল সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী। আবার কোনও কোনও সংস্থা দাবি করে, এবার মোদীর ঝড়ের দাপট ২০১৪-র চেয়েও বেশি হবে। কলকাতার সাট্টাবাজারও কেন্দ্রে গেরুয়া ঝড়ের দিকেই বাজি ধরছে। তাদের হিসেবে বিজেপি পেতে পারে প্রায় ২৫০ আসন।
আরও পড়ুন: কমিশনকে উল্লেখ না করে আরও একটা শ্লেষাত্মক 'জরুরী' কবিতা লিখলেন মমতা
তবে সাট্টাবাজারের কারবারি জানাচ্ছেন, তাদের রেটও ঠিক হয় এক্সিট পোলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। ফলে এক্সিট পোলে গেরুয়া ঝড়ের আভাস মিলতেও সাট্টাবাজারেও বিজেপির পক্ষেই বাজি ধরা চলছে।
বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে কে বাজি ধরে জিতলেন, আর কে হারলেন। কিন্তু সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকা হাত বদল হয়ে যাবে বলেই দাবি সাট্টার কারবারিদের।