পুজোর আগে রাস্তার হাল ফেরাতে মরিয়া পুরসভা, কিন্তু তা টিকবে কত দিন?
সামনেই পুজো। রাস্তা চাই চকচকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। মানতে কোনওরকমে রাস্তা সারাইয়ে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। নিজেদের অধীনে নয়, এমন রাস্তার গর্তও পিচ ঢেলে ভরাট করা হচ্ছে। তবে তার স্থায়িত্ব যে পুজোর কয়েকদিন, তা মানছেন মেয়র পারিষদ রাস্তাও।
সামনেই পুজো। রাস্তা চাই চকচকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। মানতে কোনওরকমে রাস্তা সারাইয়ে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। নিজেদের অধীনে নয়, এমন রাস্তার গর্তও পিচ ঢেলে ভরাট করা হচ্ছে। তবে তার স্থায়িত্ব যে পুজোর কয়েকদিন, তা মানছেন মেয়র পারিষদ রাস্তাও।
টালা থেকে টালিগঞ্জ। কিংবা বেহালা থেকে বাইপাস। বর্ষার আগে থেকেই বেহাল দশা কলকাতার রাস্তার। প্রথমে মানতে নারাজ কলকাতা পুরসভা। পরে শুরু হল জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা সারাই। যদিও বর্ষায় ধুয়ে মুছে সাফ। টিভির পর্দায় বারবার এই দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর। তড়িঘরি রাস্তা মেরামতির নির্দেশ কলকাতা পুরসভাকে। বরাদ্দ হল অর্থও। কিছু রাস্তায় গর্ত বোজানো হল বটে, কিন্তু তাঁর স্থায়িত্ব যে কম তা মেনে নিলেন সয়ং রাস্তা বিভাগের মেয়র পারিষদ। তাঁর আরও যুক্তি কলকাতা পুরসভার অধীনস্ত রাস্তা গুলোর অবস্থা মোটেই খারাপ নয়।
মেয়র পারিষদের যুক্তি অনুযায়ী ট্রাম লাইন সংলগ্ন রাস্তাগুলো সারাইয়ের দায়িত্ব পূর্ত বিভাগ ও এইচআরবিসির। কিন্তু পুজোর আগে রাজ্য সরকার না পুরসভা কে এই রাস্তাগুলো সারাই করবে তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। শেষমূহুর্তে পুরসভাকেই রাস্তা সারাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামনেই পুজো। তাঁর আগে কি এই রাস্তাগুলো সারিয়ে ফেলা সম্ভব? তার ওপর আবহাওয়া দফতরের বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার রাতে রাস্তা সারাই পরিদর্শনে বেড়িয়েছিলেন মেয়র পারিষদ। এই রাস্তা সারাই যে পুজোর কয়েকদিনের জন্য, তা মেনে নিয়েছেন তিনি।
আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, শিয়ালদহ ফ্লাইওভাররের অবস্থা খুবই খারাপ। পুজোর আগে রাস্তার পুরো অংশ মেরামতি যে প্রায় অসম্ভব। তা বিলক্ষণ জানেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ।