বেআব্রু মেট্রোর নিরাপত্তা!
কখনও চুরি, কখনও ছিনতাই। রয়েছে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কাও। ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। মাঝেমধ্যে ধরাও পড়েছে দুষ্কৃতী। তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। সার্বিক ভাবে দিল্লির তুলনায় নিরাপত্তা এখনও ঢিলেঢালাই কলকাতা মেট্রোয়। আর সেই বেআব্রু নিরাপত্তার ছবিই ধরা পড়ল ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়।
কখনও চুরি, কখনও ছিনতাই। রয়েছে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কাও। ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। মাঝেমধ্যে ধরাও পড়েছে দুষ্কৃতী। তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। সার্বিক ভাবে দিল্লির তুলনায় নিরাপত্তা এখনও ঢিলেঢালাই কলকাতা মেট্রোয়। আর সেই বেআব্রু নিরাপত্তার ছবিই ধরা পড়ল ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়।
কলকাতা মেট্রোর ২৩টি স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। প্রতিটি স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথে রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী। কিন্তু তাঁদের থাকাই সার। হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন। হতেই পারে কোনও একটি ব্যাগেই রয়েছে বিস্ফোরক! মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ যেতে পারে কয়েকশো নিরিহ মানুষের। না, এরকম কোনও চিন্তা হয়ত মেট্রোর নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে নেই। সেই কারণেই, কোনও যাত্রীকে তল্লাসি করা তো দূর অস্ত, কারও হাতের ব্যাগটাও তল্লাসি করা হয় না।
শুধু তাই নয়, মেট্রোর নিরাপত্তার জন্য নেই প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত কর্মীও। মেট্রোয় মোট নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ১২৪৯ জন। এরমধ্যে রেলের নিজস্ব নিরাপত্তাবাহিনী মেট্রো রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের কর্মী মাত্র ৬৭৯ জন। বাকি ৫৭০ জন কলকাতা পুলিস, সিভিক পুলিস ভলান্টিয়ার অথবা হোমগার্ড। রেলের নিজস্ব ৬৭৯ জন নিরাপত্তাকর্মীকে রাতে টানেলের নিরাপত্তা, ২টি কার সেড, ২টি টার্মিনাল এবং ২৩টি স্টেশনে ছড়িয়ে থাকা ৩৩৩টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারি সহ যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হয়।
আরপিএফ-এর তত্পরতায় মঙ্গলবারই টালিগঞ্জে ধরা পড়েছে ৪ ছিনতাইবাজ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গা-ছাড়া ভাব চলছেই!