ISI: ব্যারাকপুরে সেনায় আইএসআই চর? সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। সিআইডি, সিবিআই ও সেনা দেশের নিরাপত্তার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। কোনওভাবে যেন সেনার সঙ্গে সিবিআই বা সিআইডি-র সংঘাত না হয়। মন্তব্য বিচারপতি মান্থার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যারাকপুর সেনাবাহিনীর মধ্যে আইএসআই চর? সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরুর নির্দেশ হাইকোর্টের। একইসঙ্গে আদালত বলে, সিআইডি তার তদন্ত চালিয়ে যাবে। সেনার সঙ্গে সব এজেন্সিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সিআইডি যে তদন্ত করছে তাতে অভিযোগের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। মন্তব্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। সিআইডি, সিবিআই ও সেনা দেশের নিরাপত্তার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। কোনওভাবে যেন সেনার সঙ্গে সিবিআই বা সিআইডি-র সংঘাত না হয়। কারণ এখানে মূল ঘটনা সেনার ভিতরে। সেনা ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি একযোগে তদন্ত করবে। রাজ্যের সিআইডি তাদের হাতে আসা তথ্য ও নথি দিয়ে সেনাকে সহযোগিতা করবে। সিবিআই ও সিআইডিকে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আগামী শুনানি ২৬ জুলাইতে। এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, 'আমরা ছাপাখানা চিহ্নিত করেছি। যেখানে ডমিসাইল সার্টিফিকেট সহ জেল নথি ছাপা হয়।'
সেনাবাহিনীতে ২ পাক নাগরিক! বর্তমানে কর্মরত ব্যারাকপুরে! এমনই গুরুতর অভিযোগ ওঠে। মারাত্মক ওই অভিযোগে বলা হয় দুই অভিযুক্ত এখন ব্যারাকপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কাজ করছেন। আইএসআই ভারতীয় সেনায় লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা করা হয়। পাক অনুপ্রবেশ বন্ধে কাশ্মীরে ভারতীয় সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। আর সেই পাকিস্তানি নাগরিকরা ঢুকে পড়েছে ভারতীয় সেনায়? এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন হুগলির এক ব্যক্তি। অভিযোগ, দুই পাকিস্তানি নাগরিক পরীক্ষা দিয়ে ভারতীয় সেনায় ঢুকেছে। চাকরি পাওয়ার জন্য তারা নথিও জাল করেছে। এর পেছনে বড়়সড় কোনও চক্র রয়েছে বলা দাবি অভিযোগকারীর। এমনও দাবি করা হচ্ছে এ রাজ্যের পুলিস, ভিন রাজ্যের পুলিস, সেনাবাহিনীতে কর্মরত আধিকারিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে এর পিছনে। পুলিস প্রশাসন-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করেছে। থানা ও পুরসভার মাধ্যমে এই জালিয়াতি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চর সন্দেহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রেফতার হয়েছে একাধিক ব্যক্তি। কেউ সাধারণ নাগিরক, কেউ আবার সেনাবাহিনীরই কর্মী। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুরাট থেকে গ্রেফতার হয় দীপক কিশোর সালুঙ্কে নামে এক ব্যক্তি। সুরাটের ভুবনেশ্বরী নগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দোকান চালানোর আড়ালে চরবৃত্তি করতেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের আধিকারিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সে আইএসআইএর হাতে তুলে দিত বলে অভিযোগ। ওদিকে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনে কাজ করতেন রমেশ সিং কল্যাণ নামে এক ব্যক্তি। ২০১৮ সালের ২৫ মে তাকে উত্তর প্রদেশের পিথারগড় থেকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ। রমেশের ভাই সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। সেই সূত্রেই হাইকমিশনে রাঁধুনির কাজ পায় কল্যাণ। টাকা নিয়ে সে আইএসআইকে গোপন তথ্য সরবারহ করত বলে দাবি করে এসটিএফ।