নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে বড় নির্দেশ!
যদিও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। ফরে এখনই চাকরি যাচ্ছে না কারও। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এদিন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
সঠিকভাবে অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা না নেওয়ার কারণে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। গত শুক্রবার যারমধ্যে প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে আবার সেই নির্দেশে বদল করে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩২ হাজার।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর, মামলার জল গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ তার নির্দেশে জানাল, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। যদিও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
চাকরি বাতিল করে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে জানিয়েছিলেন, এখনই পুরোপুরি চাকরি যাচ্ছে না। আগামী ৪ মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা পূর্ণ সময়ের শিক্ষক হিসেবে নয়, পার্শ্ব সময়ের শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন। আর যারা এর মধ্য়েই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদের চাকরি বাতিল হবে না।
আরও পড়ুন, Bratya Basu: 'যেরকম স্বেচ্ছাচারিতা দেখব, সেরকম ব্যবস্থা নেব', কড়া হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর!