শিশু পাচার চক্রে সিআইডি স্ক্যানারে এবার কলকাতার ২ ডাক্তার
শিশু পাচার চক্রে সিআইডি স্ক্যানারে এবার কলকাতার ২ ডাক্তার। নজরে খাস কলকাতার একটি নার্সিংহোম। ইতিমধ্যেই সিআইডি জেরা করছে তপন বিশ্বাসকে। তপনের নামে এবার সিআইডির কাছে শিশু পাচারের অভিযোগ মছলন্দপুরের এক দম্পতির। অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে তপন। সেই সূত্রেই এবার সিআইডি নজর কলকাতার একটি নার্সিংহোম আর ২ ডাক্তারের দিকে।
ওয়েব ডেস্ক: শিশু পাচার চক্রে সিআইডি স্ক্যানারে এবার কলকাতার ২ ডাক্তার। নজরে খাস কলকাতার একটি নার্সিংহোম। ইতিমধ্যেই সিআইডি জেরা করছে তপন বিশ্বাসকে। তপনের নামে এবার সিআইডির কাছে শিশু পাচারের অভিযোগ মছলন্দপুরের এক দম্পতির। অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে তপন। সেই সূত্রেই এবার সিআইডি নজর কলকাতার একটি নার্সিংহোম আর ২ ডাক্তারের দিকে।
শিশু পাচার চক্রে গত কদিনে শিরোণামে তপন বিশ্বাস। সিআইডি জালে ধৃত তপনের নামে এবার সরাসরি অভিযোগ জানালেন এর দম্পতি। মছলন্দপুর থেকে এসে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে সেখানকার মাতৃমঙ্গল নার্সিংহোমে তাঁদের শিশুকন্যা হয়। প্রসব করায় তপন বিশ্বাস। একদিন বাদেই তপন বিশ্বাস দম্পতিকে জানায় শিশুটির হার্টে ফুটো আছে। তখনই অস্ত্রোপচার করাতে হবে। দেরি করা যাবে না।
শিশুটিকে কলকাতার নির্দিষ্ট নার্সিংহোমে রেফার করা হয়। নির্দিষ্ট দুজন ডাক্তারের কথাও বলে দেওয়া হয়। কলকাতায় আসার পর নির্সিংহোমের দুই ডাক্তারও তখনই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। প্রাথমিকভাবে অন্য একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নেন ওই দম্পতি। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই বলে সেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জানান।
কিন্তু তপন বিশ্বাস যেহেতু প্রসব করান এবং তিনিই রেফার করেছিলেন। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দম্পতি অস্ত্রোপচারে রাজি হয়ে যান। ৬ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্রোপচার করানো হয়। তারপর একটি মৃত শিশু এনে দেখানো হয় দম্পতিকে। একদিনের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বিশ্বাস করে নিয়ে চলে যান সেই দম্পতি। এখন শিশুপাচার চক্রের ঘটনা সামনে আসার পর তাঁদের সন্দেহ হয়। তাই সিআইডিতে তাঁরা অভিযোগ করেন।
তপন বিশ্বাস সিআইডির কাছে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। এবং শিশুটিকে পাচার করা হয় বলেও জানিয়েছে। এখন সিআইডি স্ক্যানারে কলকাতার দুই ডাক্তার। পাশপাশি শিশুটিকে কে কিনেছে, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পেরেছে তপন বিশ্বাস আসলে ভুয়ো ডাক্তার। সে যে সার্টিফিকেট নিয়ে কাজ করছে তাতে প্রসব করানো যায়না।