Tarak Singh| Tarak Singh: মেয়রের ফোনেই গলল বরফ, আপাতত ইস্তফা নয় তারকের
Tarak Singh| Tarak Singh: তারক সিংয়ের শরীর খারাপ তাই নিজেই কন্ট্রোল রুম পরির্দশন যান ফিরহাদ হাকিম। সংবাদমাধ্য়মে বলেন, সব পাম্পগুলো ঠিকমতো চলছে কিনা দেখতে হবে। তারকদার শরীর খারাপ। কাল ধুপগুড়ি যাব তাই কাজগুলি এগিয়ে রাখছি
দেবারতি ঘোষ: শহরে জমা জলের সমস্যা নিয়ে গতকালই তারক সিংকে ফোন করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তার পরেই পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মেয়র পারিষদ নিকাশি তারক সিং। তাঁকে রীতিমতে অভিমানি শুনিয়েছিল। শোনা যাচ্ছে এরপরই তারক সিংকে ফোন করেন ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের ফোনেই কি বরফ গলল? ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন মেয়র পারিষদ তারক সিং।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক! বাজ পড়ে কলকাতায় বাড়িতেই মৃত্যু বিবিএ পড়ুয়ার
সূত্রের খবর তারক সিংকে ফোন করেছিলেন মেয়র। ফোনে মেয়র বলেন, তাঁর কোনও কথায় যদি তারক সিং আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে তিনিও দুঃখিত। তবে তারক সিং জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। বেশকিছু দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। এক্ষুনি পদত্যাগের মতো বিষয়ের দিকে তিনি যাচ্ছেন না। শরীর ঠিক হলে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পথও তিনি খোলা রাখছেন। কী কারণে, শহরের কোথায় জল জমছে তা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে যেহেতু খোদ মেয়র দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাই আপাতত ইস্তফা দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন।
শহরে জল জমা নিয়ে গতকাল তারক সিং কী বলেছিলেন? তারকবাবু বলেন, আমার মনে হয় না এক্ষেত্রে কোনও ভুল ত্রুতি রয়েছে। তার পরেও কোনও কাজ করতে গেল এরকম হতে পারে। উনি বলার অধিকার রাখেন। এক্ষেত্রে আমার কোনও দোষ নেই। গোটা বিষয়টির জন্য আমি দুঃখিত। দায়িত্ব নিয়েই বলছি আমি কাল ইস্তফা দিয়ে দেব। কারণ মানুষের আত্মসম্মানের উপরে কিছু হতে পারে না।
তারক সিংয়ের শরীর খারাপ তাই নিজেই কন্ট্রোল রুম পরির্দশন যান ফিরহাদ হাকিম। সংবাদমাধ্য়মে বলেন, সব পাম্পগুলো ঠিকমতো চলছে কিনা দেখতে হবে। তারকদার শরীর খারাপ। কাল ধুপগুড়ি যাব তাই কাজগুলি এগিয়ে রাখছি। তারকদা ও আমার এমআইসিরা আমার টিম। তাদের ব্যাপারে খারাপ কিছু ভাবতে পারি না। তারকদা প্রাণপণ চেষ্টা করে কাজ করছে। অস্বীকার করার কিছু নেই। যারা জল জমার রিপোর্ট করছে তারা রিপোর্ট ঠিকঠাক দিচ্ছে না।
এদিকে,সূত্রের খবর, তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে ফিরহাদ বলেছেন আমার ভাইয়ের মৃতদেহ চৌকির ওপর রেখে কাজ সারতে হয়েছে জমা জলের জন্য। আমি মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তারকদারও শরীর খারাপ। তাই ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিল। উনি চেষ্টা করছেন। আমরাও চেষ্টা করছি। আমি কথা বলেছি। ঠিক আছে।