সিটি সেন্টার টু থেকে উদ্ধার সল্টলেক থেকে উধাও হওয়া তরুণী

টানটান নাটকে যবনিকা। সিটি সেন্টার টু থেকে উদ্ধার হল সল্টলেক থেকে উধাও হওয়া তরুণী। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার ভয়েই পালান তিনি। পুলিসকে জানিয়েছেন ওই তরুণী। যদিও, তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পাচ্ছে পুলিস।

Updated By: Apr 1, 2017, 07:46 PM IST
সিটি সেন্টার টু থেকে উদ্ধার সল্টলেক থেকে উধাও হওয়া তরুণী

ওয়েব ডেস্ক: টানটান নাটকে যবনিকা। সিটি সেন্টার টু থেকে উদ্ধার হল সল্টলেক থেকে উধাও হওয়া তরুণী। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার ভয়েই পালান তিনি। পুলিসকে জানিয়েছেন ওই তরুণী। যদিও, তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পাচ্ছে পুলিস।

এই সেই তরুণী। ঠিকানা FC ব্লকের 104 নম্বর বাড়ি। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ পাড়ার দোকানে খাতা কিনতে যান। সঙ্গে ছিল ছোট দুই বোন। বোন দুজনকে বাড়িতে ঢোকানোর পর তিনি নিজে ফেরেননি। রাত দশটায় বাবাকে ফোন করে তরুণী জানান তাঁকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস।

ছাত্রীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী, রাত দশটায় তিনি কোন্নগরে ছিলেন। এরপর BT রোড ধরে কলকাতার দিকে এগোয় তাঁর গাড়ি। মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিস জানতে পেরেছে, রাত দশটা পঞ্চাশ নাগাদ কাশীপুর, এরপর এগারোটা পাঁচে শ্যামবাজার, রাত এগারোটা পনেরোয় গিরীশ অ্যাভিনিউয়ে ছিল তরুণীর লোকেশন।

তারপর মোবাইল সুইচড অফ হয়ে যায়। সকাল দশটায় ফের মোবাইল অন হলে টাওয়ার লোকেশন দেখায় সিটি সেন্টার টু। তরুণীর বাবাকে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিস। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়।

জেরায় তরুণী জানান, রেজাল্ট খারাপ হওয়ার ভয়ে তিনি নিজেই পালিয়েছিলেন। হিন্দি ছবি থেকে আইডিয়া নিয়েই অপহরণের গল্প ফাঁদেন। কলকাতা থেকে অনলাইন ক্যাব বুক করে যান কোন্নগরে। কলকাতায় ফিরে ফের অনলাইন ক্যাব বুক করে রাতভর শহরে ঘোরেন তরুণী। বেশিরভাগ সময় তাঁর কাটে পার্ক স্ট্রিট এলাকায়।

তদন্তে আরও কিছু তথ্য পেয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। তাঁরা জেনেছেন, এক মাল্টিপ্লেক্সে শনিবার দুপুরের টিকিটও কাটেন ওই তরুণী। তার আগে সকাল দশটায় শপিং করেন এক বহুজাতিক বিপণীতে। তরুণীর বয়ানেও বেশ কিছু অসঙ্গতি পাচ্ছে পুলিস। তাঁদের প্রশ্ন, তরুণীর টাওয়ার লোকেশন জানার পর রাতেই BT রোড বরাবর নাকাতল্লাশি হয়। তরুণীকে তখনই উদ্ধার করা গেল না কেন? পুলিসের নজর এড়িয়ে রাতভর পার্ক স্ট্রিট এলাকায় কী করে কাটালেন ওই তরুণী? তরুণীর দাবি, তিনি একাই ছিলেন। তাহলে দুই অনলাইন ক্যাব চালক কোনও সন্দেহ করলেন না কেন? তরুণীর সঙ্গে কি আর কেউ বা কারা ছিলেন, যাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে?  তরুণী সত্যিই ক্যাব বুক করেন কি না, সেই তথ্যও খতিয়ে দেখছে পুলিস। রবিবার বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে তরুণীকে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দেবেন তিনি।  

.