খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ৫ বছর পর আজ সাজা শোনাবে আদালত, দোষ কবুল ১৯ জনের

গত ২৮ অগাস্ট আদালত সেই পিটিশন গ্রাহ্য করে ও ওই ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করবে ব্যাঙ্কশাল আদালতের NIA-এর স্পেশাল আদালত।

Updated By: Aug 30, 2019, 07:27 AM IST
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ৫ বছর পর আজ সাজা শোনাবে আদালত, দোষ কবুল ১৯ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় পাঁচ বছর পর বর্ধমান খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে আজ রায় দিতে চলেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।

এই ঘটনায় মোট ৩১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৯ জন পিটিশন দাখিল করে নিজেদের অপরাধ কবুল করেছে। তারা জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগ রয়েছে।

 

গত ২৮ অগাস্ট আদালত সেই পিটিশন গ্রাহ্য করে ও ওই ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করবে ব্যাঙ্কশাল আদালতের NIA-এর স্পেশাল আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও ভারতী দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, অশান্তি তৈরির চেষ্টা-সহ বিস্ফোরক আইন, অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এছাড়াও পাসপোর্ট অ্যাক্ট ও ফরেনার অ্যাক্টেও মামলা দেওয়া হয়েছে। একটি চার্জশিট ও ৪টি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট -সহ মোট ৫টি চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ।

1st Charge sheet 30-3-2015

Supplementary charge sheet one 23-7-2015

Supplementary 2= 14-2-2015

Supplementary 3= 21-5-2016

Supplementary 4= 10-4-2017

চার্জ গঠন ও ট্রায়াল শুরু হয় ২০১৫ সাল থেকেই। মোট ৮০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আদালত সূত্রে খবর,  এই ঘটনার ব্যাপ্তি বা পরিধি এতটাই বেশি যে এখনও বিভিন্ন সময়ে এই ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতারের পর নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া ও তা নিয়ে ফের আদালতে শুনানি হতে হতেই পাঁচ বছরের পথ অতিক্রম।

“যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত”, দিল্লি থেকে ফিরে জানালেন মুকুল

অষ্টমীর দিন দুপুরে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। প্রকাশ্যে আসে এরাজ্যে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-জঙ্গি নেটওয়ার্কের  জাল। জেলা পুলিস সিআইডি হয়ে তদন্তভার  হাতে যায় এনআইএ-র। গ্রেফতার করা হয় ৩১জনকে। চার্জশিটের পর ৩১জনের বিচার শুরু হয়। তারমধ্যে আব্দুল হাকিম-সহ ১৯ অভিযুক্ত আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করে নেয়।

২৩ অগাস্ট আবেদনের শুনানি হয়, গুলশন আরা বিবি, আলিমা বিবি-সহ ১৯জনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কারও প্ররোচনায় দোষ স্বীকার করছেন কিনা। অভিযুক্তরা জানান, তাঁরা কারও প্ররোচনা ছাড়াই দোষ স্বীকার করছেন। এরপরই ১৯জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত। 

 

 

.