ভক্ত ভিড়ে চলছে কল্পতরু উত্সব, মানুষের ঢল দক্ষিণেশ্বরে
আজই কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, যিনি বুঝিয়েছিলেন ধর্মের সারমর্ম, বলেছিলেন যত মত তত পথ। সালটা ছিল ১৮৮৬। ঠাকুর তখন দুরারোগ্য কর্কট রোগে আক্রান্ত। কাশীপুর উদ্যানবাটিতেই জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে কল্পতরু হন তিনি।
আজই কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, যিনি বুঝিয়েছিলেন ধর্মের সারমর্ম, বলেছিলেন যত মত তত পথ। সালটা ছিল ১৮৮৬। ঠাকুর তখন দুরারোগ্য কর্কট রোগে আক্রান্ত। কাশীপুর উদ্যানবাটিতেই জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে কল্পতরু হন তিনি।
দিনটা ছিল পয়লা জানুয়ারি, সময়টা গোধূলি। নির্বিকল্প সমাধিতে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণের আশ্বাস দেন। গৃহী-সন্ন্যাসী ভক্তরা বর চান। সব শেষে রামকৃষ্ণ দেব বলেন আশীর্বাদ করি, তোদের চৈতন্য হোক। তাই এই ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে আজও ভক্তদের ঢল নামে দক্ষিণেশ্বর এবং কাশীপুর উদ্যানবাটিতে।
১৮৮৬ সালে পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু রূপেই ভক্তদের আর্শীবাদ করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। সেই থেকেই জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি পালিত হয় কল্পতরু উত্সব হিসেবে। এবছর এই উত্সব ১২৭ বছরে পা দিল। উত্সব উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই কাশীপুর উদ্যানবাটী এবং দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ভিড। এদিন মঙ্গলারতি দিয়ে দিন শুরু হয়। রীতি এবং আচার মেনে চলছে পুজো অর্চনা।
কল্পতরু উত্সবে সামিল হতে আদ্যাপীঠেও ভক্তদের ঢল। আদ্যা মা-র মন্দিরে ঢুকতে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। সকাল থেকেই চলছে পুজো অর্চনা। নতুন বছর ভালো কাটার প্রার্থনায় সামিল হতে আদ্যাপীঠে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। দক্ষিণেশ্বরে মন্দিরে পুজো দিয়ে বেশিরভাগ ভক্তই হয়েছেন আদ্যাপীঠমুখী।