চরিত্র বদলাচ্ছে কালবৈশাখী
কয়েক বছর ধরেই তার নামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারছে না কালবৈশাখী। পরিসংখ্যান বলছে ধীরে ধীরে গতি কমছে এই ঝড়ের। ২০০০ সালের পর থেকেই কালবৈশাখীর গতিতে এই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, একদিকে গত ৪ বছরে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত কালবৈশাখীর ছন্দপতন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে তার গতিও।
কয়েক বছর ধরেই তার নামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারছে না কালবৈশাখী। পরিসংখ্যান বলছে ধীরে ধীরে গতি কমছে এই ঝড়ের। ২০০০ সালের পর থেকেই কালবৈশাখীর গতিতে এই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, একদিকে গত ৪ বছরে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত কালবৈশাখীর ছন্দপতন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে তার গতিও। স্বাভাবিক নিয়মে মার্চ মাসে ২টি কালবৈশাখী হওয়ার কথা রাজ্যে। গতবছর মার্চ ছিল আকালবৈশাখীর। এবছর মার্চের শেষ দিনে কালবৈশাখীর দেখা মিললেও তার গতিবেগ ছিল খুবই কম।
গত ৪ বছরে কালবৈশাখীর গতিবেগের হিসেব অনুযায়ী,
২০১২- ৫৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা
২০১১- ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা
২০১০- ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা
২০০৯- ৭৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা
২০০৮- ৭২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা
আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে এই গতিই ২০০০ সালের আগে ছিল ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ২০০০ সালের পর থেকে কালবৈশাখীর সংখ্যা কমবেশি একই থাকলেও, উল্লেখযোগ্য ভাবে তারতম্য এসছে ঝড়ের গতিবেগে। কালবৈশাখীর গতি কতটা হবে তা নির্ভর করে উলম্ব মেঘ বায়ুমণ্ডলে কত উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারছে তার উপর। এক্ষেত্রে ১৭- ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হলে তবেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব অব্যাহত থাকে। তবে গত কয়েক বছরে খুব বেশি সেই তাণ্ডবের দেখা মেলেনি। ফলে, কালবৈশাখীর নামের সঙ্গে তার চরিত্রের ফারাক দিন দিন বাড়ছে।