SSC-র প্রশ্ন ভুল পরিকল্পিত... সব নিয়োগ বাতিল করে দেব! বিস্ফোরক বিচারপতি মান্থা
'এসএসসি একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে। আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে!'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ২০১১ সালের টেট প্রার্থীদের ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে এদিন চরম ভর্ৎসনা করল আদালত। ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী শুক্রবার নতুন রিপোর্ট নিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান-কে।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি এদিন বলেন, 'আপনারা কোর্টের সঙ্গে খেলছেন। এসএসসি নিয়োগ করছে, অথচ তারাই ভুল প্রশ্ন করছে। সব পরিকল্পিত। আমার বলতে দ্বিধা নেই, এসএসসি একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে। আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনারা ভেবেছেন কি? জনমানসে আপনাদের আচরণে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে! প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে! নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।'
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। নিয়োগকর্তা নন। মন্ত্রী ছিলেন। দুর্নীতির সব দায় পর্ষদের ঘাড়ে দিয়ে দায় এড়ান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি আলিপুরে কোর্টরুমে ঘনিষ্ঠদের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এও নাকি দাবি করেন যে, 'আমি কোনও বেআইনি কাজকে সমর্থন করিনি, করব না। বোর্ড চলে নিজস্ব বিধি ও আইন দ্বারা।'
উল্লেখ্য, ২ মার্চও আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল তাঁকে। সেদিনও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দাবি করেছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন হোক বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ— সবই স্বশাসিত সংস্থা। নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে মন্ত্রীর কোনও ক্ষমতা নেই। তিনি যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর আদৌ কোনও ভূমিকা ছিল না বলেও জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন, DA Strike | Kaizer Ahmed: কাইজারের হুমকির পাল্টা এবার সুর চড়ালেন ডিএ আন্দোলনের কর্মীরা