Recruitment scam: 'নেতাদের ছুঁলেই কোটি টাকা,' পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড় নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের!
'সাধারণ মানুষ মাত্র ১০ হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর এক-একজনের কাছে এত এত টাকা! অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে? নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেও এবার সিবিআই। চাইলে তদন্ত করতে পারে সিবিআই। এদিন হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই জানাল, তারা তদন্ত করতে রাজি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'পুর নিয়োগের তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে।' যার জবাবে সিবিআই জানায়,'আদালত নির্দেশ দিলে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে রাজি।' প্রসঙ্গত, এদিন অয়ন শীলের বাড়িতে উদ্ধার করা নথির তথ্য মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেয় ইডি। নির্দিষ্ট কোনও পুরসভা নয়, সামগ্রিকভাবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার-ই সিবিআই-এর হাতে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এদিন রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বলেন, 'সাধারণ মানুষ মাত্র ১০ হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য খেটে মরছেন। আর এক-একজনের কাছে এত এত টাকা! অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে? একাংশ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কোটি কোটি টাকা! আসছে কোথা থেকে? এইসব নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে দেখুন বাজারে তাদের কত দেনা আছে। সাধারণ মানুষ সব জানা উচিত। যারা এই দেশের মালিক। দুটো, চারটে, পাঁচটা ব্যাবসা থাকলেই কেউ দেশের মালিক হয়ে যায় না। দেশের আসল মালিক তার জনগণ।'
পাশাপাশি, ইডির কাজের প্রশংসা করেন। বলেন, 'তুলনা করলে ইডি সিবিআইয়ের থেকে ভালো ভূমিকা গ্রহণ করছে। ইডি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভালো কাজ করছে।' সেইসঙ্গে সিবিআই-কেও ভালো কাজের সার্টিফিকেট দেন। বলেন, 'এখন সিবিআই একটু কাজ করছে। শেষ দু'মাসের থেকে এখন সিবিআই ভালো করছে।' এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন,'পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে চাইলে, ইডির রিপোর্টের সূত্র ধরে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারে সিবিআই। তদন্ত করে সিবিআই একটা রিপোর্ট জমা দেবে। দুর্নীতির জাল অনেক দূর দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে।'
তবে সিবিআই তদন্ত করলেও রাজ্য প্রশাসনকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন,'তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিসকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। যখনই তদন্তকারী সংস্থা সাহায্য চাইবে। ডিজি এবং মুখ্য সচিবকে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে।' পাশাপাশি এও বলেন, 'এই ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত আর কতজন আধিকারিক আপনাদের লাগবে আমাকে জানান।' আগামী ২৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি।