দায় স্বীকার নয়, যাদবপুর কাণ্ডকে দুর্ভাগ্যজনক বলে চিঠি দিলেন অভিজিত চক্রবর্তী
যাদবপুর-কাণ্ডকে দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত বলে চিঠি দিলেন উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী। তবে, ছাত্রছাত্রী বা জুটাকে নয়। তিনি চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপক সংগঠন আবুটাকে, যাদবপুরে যাদের সদস্য সংখ্যা নামমাত্র। উপাচার্যের এই চিঠিকে নিছকই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশল হিসাবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডকে দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত বলে চিঠি দিলেন উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী। তবে, ছাত্রছাত্রী বা জুটাকে নয়। তিনি চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপক সংগঠন আবুটাকে, যাদবপুরে যাদের সদস্য সংখ্যা নামমাত্র। উপাচার্যের এই চিঠিকে নিছকই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশল হিসাবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
১৬ সেপ্টেম্বর রাতে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসি নিগ্রহের প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক, প্রাক্তনীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন। ঘটনার দেড় মাস পর চিঠি দিয়ে দায় স্বীকার করলেন উপাচার্য।
আবুটাকে দেওয়া চিঠিতে যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী লিখেছেন, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত। সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি তিনি চাননি। তাঁদের যন্ত্রণা তাঁকে অস্থির করেছে। ছাত্রছাত্রীদের মান-অভিমান, বেদনার দায় তিনি অস্বীকার করেন না বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য।
তাঁর ইস্তফার দাবিতে যারা সবচেয়ে বেশি সরব সেই অধ্যাপক সংগঠন জুটা বা যাদবপুরের ছাত্র সংগঠনকে চিঠি দেননি অভিজিত চক্রবর্তী। চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপকদের এমন একটি সংগঠনকে, যাদবপুরে যাদের অস্তিত্ব নামমাত্র। ফলে, উপাচার্যের এই চিঠিতে আন্তরিকতার চেয়ে কৌশল ঢের বেশি বলে মনে করছেন অনেকেই। যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠন জুটার কাজকর্মে তারা যে সন্তুষ্ট নয়, সে কথা সরকারের তরফে একাধিকবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার, শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপাকে চিঠি দিলেও প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই কি মধ্যপন্থা হিসাবে আবুটাকে চিঠি দিলেন অভিজিত চক্রবর্তী?
উপাচার্য হিসাবে কাজ চালাতে গিয়ে পদে পদে বাধার মুখে পড়ছেন অভিজিত চক্রবর্তী। সেই বাধা কাটাতেই ঘটনার দেড় মাস পর তিনি চিঠি দিয়ে সুর নরম করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।