জাগুয়ারকাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতা, আরসেলান পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করতে চলেছে পুলিস
তদন্তে অসহযোগিতা, পুলিসকে ভুল পথে চালিত করা, মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়ে, তাকে আড়াল করা ও পালাতে সাহায্য করা এমনকি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে আনতে চলেছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমেই জট খুলতে চলেছে জাগুয়ার তদন্তের। এবার পারভেজ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আর্সেলান পারভেজের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিস। তদন্তে অসহযোগিতা, পুলিসকে ভুল পথে চালিত করা, মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়ে, তাকে আড়াল করা ও পালাতে সাহায্য করা এমনকি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে আনতে চলেছে পুলিস।
ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত রাগিবকে জাগুয়ারকাণ্ডে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামা মোহম্মদ হামজাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করে অন্য সদস্যদের নামও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারিরা।
প্রসঙ্গত, গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ২০ইঞ্চির ভাঙা কাঁচই কিনারা করল সেক্সপিয়ার সরনি থানার জাগুয়ার কাণ্ডের রহস্য।
গাড়ির EDR বা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার ও ইনফোটেইনমেন্ট টেলিমেটিক্স-এর মাধ্যমে যে ফোন রেকর্ড পান তদন্তকারীরা সেখান থেকে আর্সালানের দাদা রাগিব পারভেজের কথা প্রথম জানা যায়। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু চালক সিট্ বেল্ট বাঁধেননি তাই দুর্ঘটনার অভিঘাতে চালকের মাথা সজোরে ধাক্কা খায় উইন্ডস্ক্রিনের ভেতরের দিকে অংশে। সেখানে কিছুটা রক্তের দাগও মিলেছিল।
বাগজোলা খাল থেকে পচাগলা অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার
আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, চালকের কপালে বা মাথার সামনের অংশে সিলিকন বাইট বা আঘাত থাকবে। অথচ আর্সালানের তেমন কোনও জখম দেখতে পাননি তদন্তকারীরা। রাগিবের ক্ষেত্রে সেই সিলিকন বাইট-এর জখম পেয়েছেন। অন্যদিকে, আর্সালান পারভেজ মত্ত বা নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা, বার বার পরীক্ষা করেও তার সদুত্তর পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা।
বুধবার জাগুয়ার দুর্ঘটনার নয়া মোড় সামনে আসে। জানা যায়, আর্সালান নয়, গাড়ি চালাচ্ছিলেন দাদা রাগিব।
বেনিয়াপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার পর দুবাই পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
শুক্রবার গভীর রাতে মার্সিডিজ বেঞ্জকে ধাক্কা মারে তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা একটি জাগুয়ার গাড়ি। বেলাগাম গতির জেরে মৃত্যু হয় দুই বাংলাদেশির। ঘটনার তদন্তে শহরের নামজাদা রেস্তরাঁর মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধাকা (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ ধারা (সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি) ও অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু তদন্ত এগোতেই পুলিস জানতে পারে, ওই দিন রাতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন আরসালানের দাদা রাগিব পারভেজ। ঘটনার পরই রাগিব দুবাই পালিয়ে যান। পুলিশের দাবি, এয়ারব্যাগ খুললে চালকের মুখে সিলিকন-সহ একাধিক চিহ্ন মেলে শরীরে। সেগুলি আরসালান পারভেজের শরীরে পাওয়া যায়নি।