স্বামী-স্ত্রী করোনা আক্রান্ত, কোলের সন্তানকে বাঁচাতেই নিরাপদ আস্তানার খোঁজে বাবা?
৬ নম্বর এলগিন রোডে সপুত্র অনির্বাণের খবর সম্প্রচারিত হয় Zee ২৪ ঘণ্টায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রী করোনা করোনা আক্রান্ত। তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ। কী করবেন? কোলের শিশুকে বাঁচাবেন কীভাবে? সন্তানকেও যদি গ্রাস করে মারণ ভাইরাস! হয়তো এমন সাত-পাঁচ মাথায় আসছিল কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের। শিশুকে নিরাপদ আস্তানায় রাখতে সকালে বেরিয়ে পড়েছিলেন বলে মনে করছেন পরিজনরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ভবানীপুর থানায় তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মানসিক স্থিতাবস্থা হারান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত অনির্বাণ।
ঠিক কী হয়েছে?
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী শুভমুক্তা রাই গত ১০ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত। দিন কয়েক আগে নমুনা পরীক্ষা করান অনির্বাণ। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মোবাইলে পজিটিভ জানিয়ে রিপোর্ট আসে। এরপর দুপুর থেকে বাড়িতে অশান্তি শুরু করেন অনির্বাণ। সন্ধেয় সদ্যোজাত পুত্রকে নিয়ে নিজের গাড়িতে বেরিয়ে পড়েন। অনেক রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় ফুলবাগান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজন। গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন অনির্বাণ। তা জানানো হয় পুলিসকে। সকালে স্ত্রীকে মারধর, বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুরও করে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। তাঁর গাড়ির এখনও খোঁজ মেলেনি।
তাঁর এই আচরণে হতবাক পরিজনরা। স্বামী-স্ত্রীর করোনা, আর তাতেই কি মানসিক স্থিতাবস্থা হারালেন অনির্বাণ? পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অনির্বাণের জামাইবাবু জানালেন, ''কিছুই বুঝতে পারছি না।''
৬ নম্বর এলগিন রোডে সপুত্র অনির্বাণের খবর সম্প্রচারিত হয় Zee ২৪ ঘণ্টায়। ছুটে আসেন এলাকার কো-অর্ডিনেটর অসীম বোস। নজরে পড়ে পরিবারের। ভবানীপুর থানার ওসি-র উপস্থিতিতে মায়ের কোলে হাতে বাচ্চাটিকে তুলে দেন অসীম।
আরও পড়ুন- সেই ২০০৭ সালে গোপালকৃষ্ণ, তার ১৪ বছর পর নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল