প্রেসিডেন্সির হামলায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলল মানবাধিকার কমিশন
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল অমল মুখোপাধ্যায় কমিশন। মানবাধিকার কমিশন নিযুক্ত তদন্ত কমিটি আঠেরো পাতার রিপোর্টে জানিয়েছে, হামলার টার্গেট ছিল এসএফআই। হামলাকারীরা সবাই বহিরাগত এবং প্রত্যেকেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বলেই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল অমল মুখোপাধ্যায় কমিশন। মানবাধিকার কমিশন নিযুক্ত তদন্ত কমিটি আঠেরো পাতার রিপোর্টে জানিয়েছে, হামলার টার্গেট ছিল এসএফআই। হামলাকারীরা সবাই বহিরাগত এবং প্রত্যেকেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বলেই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
১০ এপ্রিল, ২০১৩। সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরে রাখা ছবি জানিয়েছে হামলাকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মী। অন্যদিকে তৃণমূলের মহাসচিব জানিয়েছিলেন, তাঁদের দলের কেউ হামলায় যুক্ত ছিলেন না। তআগ বাড়িয়েই প্রেসিডেন্সিতে হামলার তদন্তে নামে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়কেই তদন্তের ভার দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে অমল মুখোপাধ্যায় কমিটি আবার জানাল, হামলায় যুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা-কর্মী।
প্রেসিডেন্সিতে হামলার পরে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। হামলার দেড় মাস পরেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। অমল মুখোপাধ্যায়েরও অভিযোগ, তাঁকেও পুলিসি অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয়েছে। সরাসরি না বললেও প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যক্ষের কথাতেই স্পষ্ট, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই হামলায় যুক্ত ছিলেন এবং সে কারণেই কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। হামলার পরেই তৃণমূলের মহাসচিব প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা নিয়ে। এমনকী পুলিস তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে জেরাও করে। কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি জেনেছে, বহিরাগতরাই সেদিন তালা ভেঙে প্রেসিডেন্সির ভিতরে ঢোকে, ঠিক যে কথাটা বলে মন্ত্রীদের রোষের মুখে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
হামলার পরে বেকার ল্যাবরেটরি থেকে উদ্ধার হওয়া জ্যাভলিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বলেই দাবি করেছিলেন শিল্পমন্ত্রী। তদন্ত শেষে কমিটি কিন্তু জানিয়েছে, জ্যাভেলিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। বাইরে থেকে আনা হয়েছিল। আক্রান্ত ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, জোড়াসাঁকো থানার ওসি এবং কর্তব্যরত তিন পুলিসকর্মী মিলিয়ে মোট চুয়াল্লিশ জনের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি। ২ জুন রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।