আরোগ্যনিকেতনের শয্যা হয়ে উঠল মৃত্যুশয্যা

শুশ্রূষার জন্য ভরসা করেছিলেন যে জায়গাটিকে, সেই জায়গাই কেড়ে নিল আপনজনকে। এ শূন্যতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। এ শূন্যতা পিছু ছাড়বে না কোনওদিনই। প্রিয়জনের স্মৃতি আর প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা নিয়ে এখন স্তব্ধ আমরি-কাণ্ডে মৃত মানুষজনের পরিবার-পরিজন।

Updated By: Dec 10, 2011, 11:40 PM IST

শুশ্রূষার জন্য ভরসা করেছিলেন যে জায়গাটিকে, সেই জায়গাই কেড়ে নিল আপনজনকে। এ শূন্যতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। এ শূন্যতা পিছু ছাড়বে না কোনওদিনই। প্রিয়জনের স্মৃতি আর প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা নিয়ে এখন স্তব্ধ আমরি-কাণ্ডে মৃত মানুষজনের পরিবার-পরিজন।

বছর ছেচল্লিশের মুনমুন চক্রবর্তীর পা ভেঙে গিয়েছিল। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাড়ি নয়, অন্য ছুটি অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য। শুভঙ্কর এবং মুনমুন চক্রবর্তীর দুটি ছেলেমেয়ে। দশ বছরের সাবেরী আর আড়াই বছরের সাগ্নিক। মা আর ফিরবেন না, বুঝতে পারছে সাবেরী। চোখের জল বাধ মানছে না। কিন্তু ছোট্ট সাগ্নিকের পক্ষে বোঝা সম্ভবও নয়। শুক্রবার ভোর তখন চারটে একুশ। ফোন বেজে উঠেছিল শুভঙ্কর চক্রবর্তীর। ধরফড়িয়ে ফোন ধরতেই ফোনের ওধার থেকে ভেসে এসেছিল স্ত্রী মুনমুনের আতঙ্কিত, উতকণ্ঠিত গলা। জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে আগুন লেগে গেছে। স্বামীকে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল পৌঁছতে অনুরোধ করেছিলেন মুনমুন। কিছুক্ষণ পরে স্ত্রীকে ফোনও করেন শুভঙ্কর। ততক্ষণে বিষবাষ্পে দম আটকে এসেছে মুনমুন দেবীর।

.