পাতাল রেলের নরক যন্ত্রণার সময়নামা
কখনও সুড়ঙ্গে বিকল ট্রেন। কখনও আবার আগুনের আতঙ্ক। রোজই মেট্রো যন্ত্রণার শিকার যাত্রীরা। নিদারুণ অসুখে ভুগছে শহর কলকাতার লাইফ লাইন।
কলকাতা: কখনও সুড়ঙ্গে বিকল ট্রেন। কখনও আবার আগুনের আতঙ্ক। রোজই মেট্রো যন্ত্রণার শিকার যাত্রীরা। নিদারুণ অসুখে ভুগছে শহর কলকাতার লাইফ লাইন।
২০ অক্টোবর, ২০১০
অফিস টাইমের ব্যস্ত সময়ে সেন্ট্রাল স্টেশনের কাছে অন্ধকার সুড়ঙ্গে বেলাইন মেট্রোর দুটি কামরা। আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। চালকের কেবিন দিয়ে নামিয়ে রেল লাইন ধরে হাঁটিয়ে এনে প্ল্যাটফর্মে তোলা হয় যাত্রীদের।
১০ জুন, ২০১৪
শোভাবাজার এবং শ্যামবাজার স্টেশনের মাঝে লাইনে ফাটল। সন্ধের ব্যস্ত সময়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ রইল মেট্রো চলাচল।
২৩ জুন, ২০১৪
থার্ড রেল থেকে বিদ্যুত পৌছয়নি রেকে। পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে ঢোকার মুখে সুড়ঙ্গে দাঁড়িয়ে গেল মেট্রো। উদ্ধারকারী দলের দেখা নেই। দম আটকে অসুস্থ হয়ে পড়লেন যাত্রীরা।
২ জুলাই, ২০১৪
সকালে অফিস টাইমে মহাত্মা গান্ধী রোড স্টেশনে লাইনে ফাটল। মেট্রো বিভ্রাটে ভোগান্তির শিকার কয়েক লক্ষ নিত্যযাত্রী।
২০ জুলাই, ২০১৪
চাঁদনি চকে দমদমগামী ট্রেন থেকে ধোঁয়া বের হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। আগুনের গুজবে তাঁরা প্রাণভয়ে পালাতে শুরু করলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে চোট পান বেশ কয়েকজন যাত্রী।
২১ জুলাই, ২০১৪
চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই ফের বিভ্রাট মেট্রোয়। সেন্ট্রাল স্টেশনে বিকল এসি রেক। শাসকদলের সমাবেশের জন্য এমনিতেই বাস কম। অফিস টাইমে মেট্রোও অচল হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
এ ভাবেই চলছে কলকাতা মেট্রো। অন্য রাস্তা নেই। তাই ষোলো আনা দুর্ভোগের আশঙ্কা নিয়েও পাতাল পথে যাতাযাতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা।