সংবিধান দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা রাজ্যের, আমন্ত্রণ পাবেন সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল?
একের পর এক ঘটনায় রাজ্য-রাজ্যপাল মতান্তর হয়েছে।
কমলিকা সেনগুপ্ত: রাজ্যে সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে ইতিমধ্যে শাসক দলের সঙ্গে টোকাটুকি লেগেছে রাজ্যপালের। এমন প্রেক্ষাপটেই রাজ্যে সংবিধান দিবস উদযাপন করতে চলেছে তৃণমূল সরকার। আর ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে ডাকা হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর।
আগামী ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। এবার দু'দিন ধরে ঘটা করে উদযাপন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিধানসভায় বসবে বিশেষ অধিবেশন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশিষ্ট অতিথিদের। কিন্তু রাজ্যপাল কি আসবেন? তাঁকে কি আমন্ত্রণ জানানো হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোর্টে বল ঠেলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সম্ভবত ডাকা হবে না। নানা কারণে রাজ্যপালের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে শাসক দলের সঙ্গে বেঁধেছে সংঘাত। নাম না করে রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র বলে বিঁধেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ধনখড়। যাদবপুরে পড়ুয়া বিক্ষোভে আটকে পড়া বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই শুরু। তারপর থেকে একের পর এক ঘটনায় রাজ্য-রাজ্যপাল মতান্তর হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও ৬ বছরের সন্তান খুনে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঢিমেতালে তদন্তের অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। সোমবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি রাজ্যপালকে দিল্লিতে ডাকুন। তাঁকে সঠিক দিক নির্দেশ করুন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের কর্মচূচির কোনও সংঘাত নেই। তিনি রাজ্য পুলিসের সহযোগিতা নিচ্ছেন না। কেন্দ্র থেকে সিআরপিএফ নিয়ে এসেছেন।'' ফলে সংবিধান দিবসে রাজ্যপাল ডাক না পেলে আরও এক দফা বাকযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
২৫ নভেম্বর রয়েছে সর্বদল বৈঠক। বিজনেস অ্যাডভাইজারি অর্থাৎ বিধানসভার কার্যাবলী সংক্রান্ত বৈঠক হবে ২৮ নভেম্বর।
আরও পড়ুন- ইডেনে গোলাপি টেস্টে শেখ হাসিনার সঙ্গে খেলা দেখবেন না অমিত, আসবেন পরের দিন