ভর্তুকি বন্ধে অশনি সংকেত দেখছে পরিবহণ কর্মীরা

রাজ্যের সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলির ভর্তুকি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৫ জানুয়ারি রাজ্যের পাঁচ পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেবেন তিনি।

Updated By: Jan 9, 2012, 05:55 PM IST

রাজ্যের সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলির ভর্তুকি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৫ জানুয়ারি রাজ্যের পাঁচ পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেবেন তিনি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে অশনি সঙ্কেত দেখছেন পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা। বছরে সাড়ে চারশো কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। সরকারি ভর্তুকির উপরেই কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন নির্ভর করে। ভর্তুকি বন্ধ হলে বেতন ও পেনশন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবহণ কর্মীরা।
কোষাগারে টাকা নেই। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভা গঠনের একমাসের মধ্যেই পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সী পরিবহণ সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকার আর বেশি দিন ভর্তুকি দিতে পারবেনা। রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহণ সংস্থাগুলিকে নিজেদের আয়ের রাস্তা নিজেদেরই খুঁজে নিতে হবে। এরপর পাঁচ পরিবহণ সংস্থার কাছে আয় ব্যয়ের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে রিপোর্টও তলব করেন পরিবহণমন্ত্রী। বছরে তবে পরিবহণ সংস্থার পাঠানো রিপোর্টে সরকার সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন পরিবহণ সচিব বিপি গোপালিকা। পরিবহণ সংস্থাগুলির দাবি আয় বাড়াতে তারা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারকে  ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকারের তরফে এই দাবি মানা হয়নি। ভাড়া বাড়াতে রাজি নন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আয় বাড়ানোর বিকল্প রাস্তা হিসাবে নতুন রুটের প্রস্তাব দিলেও স্থানীয় বিধায়কদের বাধায় তাও কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পরিবহণ সংস্থাগুলির। এর বাইরে নতুন করে আয় বাড়ানোর পথ খোলা নেই। এই অবস্থায় সরকারি ভর্তুকি বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবহণ ক্ষেত্রকে আরও ক্ষতির দিকেই নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পরিবহন
সংস্থাগুলির কর্মীরা।

.