খাস কলতায় রমরম করে চলছে নায়িকা করে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র, প্রতারিত বহরমপুরের তরুণী

সিনেমার নায়িকা করে দেওয়ার টোপ। দেড়লক্ষ টাকার প্রতারণা। খাস কলকাতার বুকে প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল ২৪ ঘণ্টা। শিকার বহরমপুরের তরুণী।

Updated By: Feb 9, 2015, 10:03 PM IST
খাস কলতায় রমরম করে চলছে নায়িকা করে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র, প্রতারিত বহরমপুরের তরুণী

ব্যুরো: সিনেমার নায়িকা করে দেওয়ার টোপ। দেড়লক্ষ টাকার প্রতারণা। খাস কলকাতার বুকে প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল ২৪ ঘণ্টা। শিকার বহরমপুরের তরুণী।

বহরমপুরের মেয়ে সায়নী। আইডল কোয়েল মল্লিক। কোয়েলের মতোই রুপোলি পর্দা দাপিয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দু চোখে। স্বপ্নকে ছুঁয়ে ইন্টারনেটকে ভরসা করেছিল সায়নী।  আর সেখানেই পাতা ছিল প্রতারণার ফাঁদ। ২০১৩-য়  ওয়েবসাইটে শৈলেন পিকচার্সের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন সায়নীর বাবা। ফোন করতেই যোগাযোগ করেন রথীন চ্যাটার্জি। সোজাসুজি নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব। শর্ত একটাই  দিতে হবে দেড় লক্ষ টাকা।

টাকা দিলেও শুরু হয়নি ফিল্মের শুটিং। কিছুদিন পর সায়নীরা বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

বহরমপুর থেকে বাঁশদ্রোণীতে  শৈলেন পিকচার্সের অফিসেও ছুটে যান তাঁরা। নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌছে দেখেন ওখানে কোনও অফিসই নেই।

সায়নীর অভিযোগ পেয়ে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম রথীন চ্যাটার্জির সঙ্গে। আমাদের প্রতিনিধিকেও একফোনেই  নায়িকা বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন রথীন চ্যাটার্জি।

দু হাজার তেরোতেই শৈলেন পিকচার্সের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানা বাঁশদ্রোণী থানা এমনকি লালবাজারেও অভিযোগ করেছিলেন সায়নী। তারপরও দুবছর ধরে খাস কলকাতার বুকে বসে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রথীন চ্যাটার্জি। কী ভাবে? কেন নিষ্ক্রিয় রইল পুলিস?সেলিব্রিটিদের ছবি ব্যবহার হলে সাধারণ মানুষ প্রতারণা চক্র বুঝবেন কী করে? সেলিব্রিটিরাই বা কেন নিজেদের ছবি কোথায় ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে এত উদাসীন?

 

.