সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ফরেনসিক দল
আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিস হেফাজতে ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করল ফরেনসিক টিম। আজ প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে পিসিএইচ পিডব্লুউডি ৩৭ যে বিদ্যুতের খুঁটিতে লেগে সুদীপ্তর মৃত্যু হয় বলে বিতর্ক, সেই জায়গা ঘুরে দেখেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিস হেফাজতে ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করল ফরেনসিক টিম। আজ প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে পিসিএইচ পিডব্লুউডি ৩৭ যে বিদ্যুতের খুঁটিতে লেগে সুদীপ্তর মৃত্যু হয় বলে বিতর্ক, সেই জায়গা ঘুরে দেখেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল থেকে রক্ত এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল। তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরোটরিতে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু নিয়ে পুলিসি অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেই অভিযোগই আরও জোরালো হচ্ছে। শুধুমাত্র মাথাতেই নয়, সুদীপ্তর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর চোয়ালে গুরুতর জখম রয়েছে। দু চোখের মাঝখানে, অর্থাত্ কপালেও মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাসমণি রোডে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় গ্রেফতারের পর এসএফআই সমর্থকদের বাসে করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। তেমনই একটি বাসে ছিলেন সুদীপ্ত গুপ্ত। পুলিসের দাবি, জেলের কাছে পৌঁছতেই বাসের ভিতর বচসা শুরু হয়। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যা জানিয়েছেন, তার সঙ্গে পুলিসের বক্তব্যের বিন্দুমাত্র মিল নেই। তাঁদের বক্তব্য আইন অমান্য কর্মসূচীর পর গ্রেফতার হলে বাস থেকে নামানোর সময় সুদীপ্ত সহ বেশ কয়েকজনকে পুলিস বেধড়ক মারে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাস থেকে নামতে গিয়ে পুলিসের ধাক্কায় পড়ে যান সুদীপ্ত। তার পরেও তাঁর উপর মার পড়তে থাকে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হেস্টিংস থানায় পুলিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুদীপ্তর বন্ধু এবং প্রত্যক্ষদর্শী ডোনা।