ওয়েব ডেস্ক: ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছিল বাংলার লোকশিল্প। বাংলার এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবার হাল ধরেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় স্তরে মঞ্চ পাচ্ছে পশ্চিমবাংলার লোকশিল্প। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দিল্লি এবং কলকাতা দু'জায়গাতেই নিয়মিত অংশগ্রহণ করে বাংলার লোকশিল্পীরা। বিভিন্ন মনীষীদের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীকে স্মরণ করতে সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ থেকে আয়োজন করা হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এ পর্যন্ত ১৭৫টি এরকম অনুষ্ঠানের অয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

পড়ুন পরিবহণ ব্যবস্থায় এগিয়ে রাজ্য

শুধু লোকশিল্পীরাই নয়, বাংলা টেলিভিশন ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২১ হাজার শিল্পীকে 'গ্রুপ মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স স্কিম'-এর আওতায় আনা হয়েছে। এই স্কিমে পরিবার পিছু ১.৫ লক্ষ টাকার বীমা দেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে 'গ্রুপ পার্সোনাল অ্যাক্সিডেন্ট ইন্সুরেন্স'। এর আওতায় পরিবার পিছু পাবে ১ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বীমা।

বাংলার লোক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরও একটি অভিনব উদ্যোগ হলো 'লোক প্রসার প্রকল্প'। এই প্রকল্পের অধীনে লোকশিল্পীরা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পেনসন পাবেন। এছাড়াও প্রতি অনুষ্ঠান পিছু শিল্পীরা পাবেন ১ হাজার টাকা করে। সরকারী অনুষ্ঠান ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারে অংশ নেন এই লোক শিল্পীরা। প্রায় ২৭ হাজার প্রচারঅনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে ৭৭ হাজার লোক শিল্পী ও আদিবাসী শিল্পীরা। এছাড়াও বাংলার সংস্কৃতির প্রচার বাড়াতে বানানো হয়ছে বিভিন্ন অ্যাকাডেমি। চালু করা হয়েছে বঙ্গভূষণ, বঙ্গবিভূষণের মতো পুরস্কার। ২০১১ সাল থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে 'কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'। গত চার বছরে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি জায়গাকে 'হেরিটেজ' তকমা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

 

English Title: 
Folk Cuture is Developing with The Help of West Bengal Govt
News Source: 
Home Title: 

সরকারের উদ্যোগে এগোচ্ছে বাংলার লোকশিল্প

সরকারের উদ্যোগে এগোচ্ছে বাংলার লোকশিল্প
Caption: 
১. লোক শিল্পীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প, ২. বসুমতীর ১০০ বছর, ৩. লোক শিল্পীদের অর্থ সাহায্য, ৪. টেকনিশিয়ান স্টুডিওর নবীকরণ
Yes
Is Blog?: 
No