ঢাল-তরোয়ালহীন নিধিরাম সর্দার, ফের প্রশ্নের মুখে দমকলের পরিকাঠামো
কোনও জায়গায় দমকল কেন্দ্র খোলার আগে সাধারণত দেখা হয় তিনটি বিষয়। সেখানকার জনসংখ্যা, কতটা অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ অঞ্চল এবং এলাকার চরিত্র। তার মধ্যে পড়ছে কলকারখানা কতগুলি রয়েছে কিংবা দাহ্যবস্তু কেমন হারে মজুত থাকে এমন নানা দিক। কিন্তু দমকল কেন্দ্র চলবে কীভাবে যদি পরিকাঠামোই ঠিকমতো না থাকে? কর্মী-সঙ্কট নিয়ে ক্ষোভ আগেও বহুবার সামনে এসেছে। আবারও প্রশ্ন তা নিয়েই। BT রোডে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে চার-চারখানা দমকল কেন্দ্র। কিন্তু কেমন অবস্থা সেখানে?
ওয়েব ডেস্ক : কোনও জায়গায় দমকল কেন্দ্র খোলার আগে সাধারণত দেখা হয় তিনটি বিষয়। সেখানকার জনসংখ্যা, কতটা অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ অঞ্চল এবং এলাকার চরিত্র। তার মধ্যে পড়ছে কলকারখানা কতগুলি রয়েছে কিংবা দাহ্যবস্তু কেমন হারে মজুত থাকে এমন নানা দিক। কিন্তু দমকল কেন্দ্র চলবে কীভাবে যদি পরিকাঠামোই ঠিকমতো না থাকে? কর্মী-সঙ্কট নিয়ে ক্ষোভ আগেও বহুবার সামনে এসেছে। আবারও প্রশ্ন তা নিয়েই। BT রোডে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে চার-চারখানা দমকল কেন্দ্র। কিন্তু কেমন অবস্থা সেখানে?
কামারহাটি দমকলকেন্দ্রে ফায়ার অফিসার রয়েছেন ৩৬ জন, লিডার ৭ জন, স্টেশন অফিসার ২ জন, সাব অফিসার ১ জন। উপকরণ বলতে রয়েছে দুটি ওয়াটার টেন্ডার, একটি ওয়াটার কেরিয়ার। পোর্টেবল পাম্প, মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার,ওয়াটার বাউজার, পোর্টেবল পাম্প, ট্রেলার পাম্প- কিছুই নেই।
পানিহাটি দমকল কেন্দ্রে ফায়ার অফিসার ২৮ জন, লিডার ৮ জন, স্টেশন অফিসার ২ জন, সাব অফিসার ১ জন। উপকরণ বলতে শুধুই একটি ওয়াটার টেন্ডার। আর কিচ্ছু নেই এখানে।
উত্তর ব্যারাকপুর দমকল কেন্দ্রে ফায়ার অফিসার ৪০ জন, লিডার ১২ জন, স্টেশন অফিসার ২ জন, সাব অফিসার মোটে ৩ জন। এখানে উপকরণ বলতে রয়েছে, দুটি ওয়াটার টেন্ডার ও একটি পোর্টেবল পাম্প। মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার কিংবা ওয়াটার কেরিয়ার বা ওয়াটার বাউজার- কোনওকিছুরই নামগন্ধ নেই।
লালকুঠি দমকল কেন্দ্রে ফায়ার অফিসার ৬৪ জন, লিডার ১৭ জন, স্টেশন অফিসার ৫ জন এবং সাব অফিসার ৩ জন। বাকিগুলির তুলনায় এখানে ওয়াটার টেন্ডার রয়েছে দুটি, পোর্টেবল পাম্প একটি, মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডারও একটি। ওয়াটার কেরিয়ার নেই। ওয়াটার বাউজার, পোর্টেবল পাম্প ও ট্রেলার পাম্প রয়েছে একটি করে। এমনই বেহাল দশা।
নিয়ম বলছে, প্রতিটি ব্লক স্তরে দমকল কেন্দ্র উদ্বোধন করা যেতেই পারে। কিন্তু সেজন্য যে পরিকাঠামো দরকার তা নেই। বেলঘরিয়া, টিটাগড় থেকে আড়িয়াদহের মতো ঘিঞ্জি এলাকা। ঘন জনবসতিপূর্ণ। অসংখ্য কলকারখানা। কিছু বন্ধ-কিছু খোলা। মাঝেমধ্যেই অগ্নিকাণ্ড লেগেই থাকে। বড়সড় আগুন লাগলে, সামলাতে ঘাম ছুটে যায় দমকলের।
সরু রাস্তায় বড় ওয়াটার টেন্ডার ঢোকাও সমস্যা। দরকার মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার। অথচ গোটা BT রোড জুড়ে চারখানা ফায়ার স্টেশন থাকলেও, মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার রয়েছে মাত্র একটি। তাও লালকুঠি দমকলকেন্দ্রে। অর্থাত্ খড়দা-সোদপুরে আগুন লাগলে, সেই লালকুঠি থেকে নিয়ে আসতে হবে সেটিকে!
আরও পড়ুন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে চিরকালের মত শ্রবণক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা ৪ বছরের দেবাশিসের