হাতুড়ে ডাক্তারের কীর্তি ফাঁস `২৪ ঘণ্টা`য় - তৃতীয় কিস্তি

হোমিওপ্যাথি ডিগ্রিতে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ লেখার অভিযোগ, কেউ আবার ভুয়ো ডিগ্রি নিয়েই দিনের পর দিন করে চলেছেন দাঁতের চিকিত্সা। এবার সেই তালিকায় এ কে ভাণ্ডারীর নাম। ডেন্টাল টেকনিশিয়ানের কোর্স করে দিব্যি ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট। আজ তৃতীয় পর্ব, ভাণ্ডারি ডেন্টাল হল।

Updated By: Apr 30, 2012, 12:29 PM IST

হোমিওপ্যাথি ডিগ্রিতে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ লেখার অভিযোগ, কেউ আবার ভুয়ো ডিগ্রি নিয়েই দিনের পর দিন করে চলেছেন দাঁতের চিকিত্সা। এবার সেই তালিকায় এ কে ভাণ্ডারীর নাম। ডেন্টাল টেকনিশিয়ানের কোর্স করে দিব্যি ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট। আজ তৃতীয় পর্ব, ভাণ্ডারি ডেন্টাল হল।
রাজারহাট থানা লাগোয়া কালীবাড়ি রোডের এই চেম্বারে সপ্তাহে একদিন বসেন এ কে ভাণ্ডারী। তিনি নিজেকে অভিজ্ঞ দন্ত চিকিত্সক হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। খবর পেয়ে রোগী পরিচয়ে আমরা হাজির হই একে ভাণ্ডারির চেম্বারে। সামান্য কিছুক্ষণ পরীক্ষা করার পর আমাদের প্রতিনিধির দাঁতে একটি তরল স্প্রে করলেন তিনি। স্প্রে করার পরই আমাদের প্রতিনিধির মুখ অসাড় হয়ে যায়। অভিজ্ঞ দন্ত চিকিত্সক বলেন, দাঁতের রুট ক্যানাল করতেই তিনি স্প্রে করেছেন। অর্থাত্ তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু করবেন রুট ক্যানাল।
 
কিন্তু কোনওরকম এক্স-রে ছাড়া রুট ক্যানাল করা যায় কি? এরপর রুট ক্যানাল করানো, না-করানো নিয়ে চলল দীর্ঘ টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য, রুট ক্যানাল করাতে বদ্ধপরিকর ভাণ্ডারিবাবুর থেকে রেহাই পেলেন আমাদের প্রতিনিধি। প্রেসক্রিপশন লিখে ছেড়ে দিলেন তিনি।
 
কিন্তু একি? লেটার হেডে একে ভাণ্ডারির নামের আগে ডাক্তার শব্দটির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ডিগ্রি হিসেবে লেখা রয়েছে ডিডিটি আর ব্র্যাকেটে ভি ইউ। এমন ডিগ্রি থাকলে দাঁতের চিকিত্সা কি করা যায়? ডেন্টাল কাউন্সিলের কর্তাদের বক্তব্য, তাঁরা এমন কোনও ডিগ্রির নাম আদৌ শোনেননি। এমন ডিগ্রির অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন ডাক্তার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অভিজ্ঞ দন্ত বিশেষজ্ঞরাও।
 
এরপর কী বলবেন এ কে ভাণ্ডারী? টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, ভাণ্ডারীবাবু অবশ্য সমস্তটাই অস্বীকার করেছেন। বললেন, তিনি নিজেকে চিকিত্‍সক বলে দাবি করেন না।
তবে একের পর এক মিথ্যের মধ্যে একটি সত্যি কথা কিন্তু তিনি বলেছেন। জানিয়েছেন, তিনি আসলে ডেন্টাল টেকনিশিয়ান। তাঁর যোগ্যতা দাঁত বাঁধানোর। মেদিনীপুরের একটি কলেজ থেকে এই ডিগ্রি তিনি পেয়েছেন। অর্থাত্‍ ডেন্টাল টেকনিশিয়ানের যোগ্যতা নিয়ে দিনের পর দিন দন্ত চিকিত্সক পরিচয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন একে ভাণ্ডারি।
 

.