Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের
রাজ্যের তুলনায় কলকাতায় পজিটিভি রেট দ্বিগুণ। তারমধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণের ৮৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই!
সুতপা সেন: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে এবার জেলায় জেলায় টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেলায় জেলায় গিয়ে সেখানকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে টিম। নবান্ন সূত্রে খবর, যে সব জেলায় পরিস্থিতি বেশি খারাপ, উদ্বেগজনক, সেখানে অফিসারদের টিম পাঠাবে নবান্ন। রাজ্যের ৬টি জেলায় মূলত ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতা ছাড়াও যে তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও জলপাইগুড়ি। এই ছয় জেলাতেই বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে নবান্ন। এই টিম গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে সেই জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি দরকার হলে সেই জেলা ভিত্তিক টিমও গঠন করা হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তুলনায় কলকাতায় পজিটিভি রেট দ্বিগুণ। তারমধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণের ৮৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই! কলকাতায় ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন খোদ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারী সুপার অনির্বাণ হাজরা। ইতিমধ্যেই, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর অনুরোধ করেছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও তার পালটা জবাবও দিয়েছেন শান্ত্বনু সেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, কোভিডের মতো ডেঙ্গি মোকাবিলাতেও সরকার সদা সচেষ্ট।
ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪ মাস ধরে লাগাতার বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব। ভিডিয়ো কনফারেন্সে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও। প্রত্যেকটি জেলায় ডেঙ্গি টেস্ট আরও বাড়ানো ও আক্রান্তদের চিকিৎসা নজরদারি চালানো নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, শুরুর দিকে রাজ্যে দাপট দেখাচ্ছিল ডেঙ্গ-৩ ভ্যারিয়্যান্ট। পরে সংক্রমণের হার বাড়ায় ডেঙ্গ-২-ও। ডেঙ্গ-৩-এর প্রভাবে সাধারণত প্লেটলেট কমে গিয়ে রোগীর বিপদ দেখা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, ডেঙ্গির ডেঙ্গ-২ প্রজাতি রোগীর একাধিক অঙ্গে হানা দিয়ে শক সিন্ড্রোম ডেকে আনে।