নোনাডাঙায় লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল কংগ্রেস

নোনাডাঙায় মহিলাদের উপরে পুলিসের লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল দক্ষিণ কলকাতা প্রদেশ কমিটি। শুক্রবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে গড়িয়াহাট মোড় পর্যন্ত এক প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের প্রশ্ন, রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেন মহিলাদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে? দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে

Updated By: Apr 5, 2012, 12:36 PM IST

নোনাডাঙায় মহিলাদের উপরে পুলিসের লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল দক্ষিণ কলকাতা প্রদেশ কমিটি। শুক্রবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে গড়িয়াহাট মোড় পর্যন্ত এক প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের প্রশ্ন, রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেন মহিলাদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে? দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে
বামফ্রন্টের আমলে বহুবার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হবে। কিন্তু মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগ্রাসী অভিযান চলেছে `মা-মাটি-মানুষের` বিরুদ্ধেই। এক নজরে দেখব গত ১০ মাসে উচ্ছেদের খতিয়ান।
মা-মাটি-মানুষের দল। মা-মাটি-মানুষের নেত্রী। মা-মাটি-মানুষের সরকার। মা-মাটি-মানুষের জন্য আন্দোলন। সবই মা-মাটি আর মানুষের জন্য। জমি আন্দোলন থেকে উচ্ছেদবিরোধী অভিযান, সবই মা-মাটি-মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ক্ষমতায় আসার আগে এমনটাই বলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই মা-মাটি-মানুষকে ভিটে-রুটিহারা করতেই তত্‍‍পর মা-মাটি-মানুষের নেত্রী। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার ৫ মাসের মধ্যে হাওড়ার মঙ্গলাহাটে হাজার পাঁচেক ব্যবসায়ী উচ্ছেদ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস প্রশাসনের নেতৃত্বে। তার পরের মাসে, অর্থাত্‍ ২০১১-র নভেম্বরে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে উচ্ছেদের অভিশাপ নেমে এল প্রায় ৪০০ জন ব্যবসায়ীর উপরে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হাওড়া ময়দান এলাকায় উচ্ছেদ করা হয়েছে ২৬৫ জনকে।

গত মাসে বাইপাসের রুবি মোড় থেকে পাটুলি পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার দোকানি এবং পরিবারের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। রাতারাতি খোলা আকাশ আর রাস্তা হয়ে গেল তাঁদের ভবিতব্য। মার্চেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের বুলডোজার চলে গেল নোনাডাঙা বস্তিতে। দাউদাউ আগুন জ্বলল তাঁদের আপাত নিশ্চিন্তির ঘরকন্নায়। সেই মাসেই নোনাডাঙা থেকে একটু দূরে, রবীন্দ্রসদনের উল্টোদিকে আছড়ে পড়ল উচ্ছেদের ছোবল। এক বছরও কাটেনি ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু পরিসংখ্যান আর বাস্তবচিত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, একের পর এক এই সরকারের শাসনে উজাড় হয়ে গিয়েছে খেতে না-পাওয়া, হতদরিদ্র মানুষগুলির ঘরগৃহস্থালি। বিপন্ন দুমুঠো অন্নের নিরাপত্তা। সন্ততির আশ্রয়। উচ্ছেদের অভিশাপে অভিশপ্ত এখন তাঁদের বেঁচে থাকার দিনলিপি। মুখ্যমন্ত্রীর মমতাময়ী আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি আর স্তোকবাক্য এখন কেমন যেন অচেনা, অজানা মনে হয় তাঁদের।

.