বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার শুরু করল সরকার
নন্দীগ্রাম কাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতা আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। এই মর্মে জেলার আইনজীবীদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
নন্দীগ্রাম কাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতা আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা প্রাত্যাহারের আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। এই মর্মে জেলার আইনজীবীদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। নন্দীগ্রাম কাণ্ডে এই দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের সমস্ত তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। বাম আমলে তাঁদের মিথ্যা মামলায় 'ফাঁসানো' হয়েছিল বলে অভিযোগ বর্তমান রাজ্য সরকারের।
নন্দীগ্রাম কাণ্ডে বহু গণআন্দোলনের কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিস। এছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় মামলা চলছে গণআন্দোলনের কর্মীদের বিরুদ্ধে। মামলা প্রত্যাহার তো দূর অস্ত, তাঁদের অনেকে জামিন পাননি এখনও। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি পুলিসি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাত। এই অবস্থায় বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে চলা মামাল প্রত্যাহারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের দলতন্ত্রের অভিযোগ উঠছে।
ওদিকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বামেরা ও গণসংগঠনগুলি। এপিডিআরের পক্ষে সুজাত ভদ্র বলেন, "দল দেখে বন্দিমুক্তি ঠিক নয়। এতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।" কোঝিকোড়ে পার্টি কংগ্রেস চলাকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, "১৯৭৭ সালে বামেরাও বন্দিমুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে দলমত নির্বিশেষে বন্দিদের মুক্তিও দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে সিপিআইএম কর্মীরা যেমন মুক্তি পেয়েছিলেন, তেমনই বিরোধী নকসালপন্থীদেরও মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কোনও দ্বিচারিতা করা হয়নি। কিন্তু তা না করে, বেছে বেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।"