জিঙ্গল বেলের সুরে মেতে রয়েছে গোটা বিশ্ব
শীতের আমেজও নেই। রোদের ওমও নেই। তবু আজ বড়দিন। মেঘলা আকাশের চাঁদোয়ার নীচে শহরের রং ফ্যাকাসে। আবহাওয়ায় ঝলমলে ব্যাপারটাই নেই। তবু মন চাইছে না ঘরবন্দি হয়ে থাকতে। বড়দিন বলে কথা তাই মনটা এখন ছুটি ছুটি।
ওয়েব ডেস্ক: শীতের আমেজও নেই। রোদের ওমও নেই। তবু আজ বড়দিন। মেঘলা আকাশের চাঁদোয়ার নীচে শহরের রং ফ্যাকাসে। আবহাওয়ায় ঝলমলে ব্যাপারটাই নেই। তবু মন চাইছে না ঘরবন্দি হয়ে থাকতে। বড়দিন বলে কথা তাই মনটা এখন ছুটি ছুটি। শুরু আউটিংও। চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়া, ইকো পার্ক থেকে নিক্কো পার্ক, চলছে সেলিব্রেশন। সকাল থেকেই দল বেঁধে বেরিয়ে পড়া। বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী, সবাই সামিল সেই দলে। চিড়িয়াখানার বাঘমামা, ভলুরা আজ ভিভিআইপি। নিক্কো পার্কের রাইডে লম্বা লাইন। শহরে সান্তা এসে গেছে। আর কী অলস হয়ে ছুটি কাটানো যায়!
কলকাতার সঙ্গে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠেছে জেলাগুলিও। বড়দিনে গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। ক্যারলে অংশ নেন খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা। কিন্তু একইসঙ্গে ক্রিসমাস ক্যারল এবং কৃষ্ণ গান গেয়ে নজির গড়লেন নদিয়ার মুর্শিদাবাদের মানুষ। গতকাল মধ্যরাতে এই বিশেষ ঘটনার স্বাক্ষী থাকল কৃষ্ণনগর গির্জা। প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন প্রার্থনায়।
বড়দিনের আমেজ বিশ্বজুড়ে। পূর্ণ মর্যাদা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে যীশু খৃষ্টের জন্মদিবস পালন ভ্যাটিকান থেকে বেথলেহেমে। মিডনাইট মাস থেকে গীর্জায় গীর্জায় প্রাথনা।তবে ভক্তির আবেগে ভাঁটা পড়েনি উত্সবের মেজাজেও। যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার ওয়েস্টব্যাঙ্কেওবড়িদনের ছোয়ঁয়া। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ভুলিয়ে উপহার আদানপ্রদান প্রার্থনায় গাজাবাসী। একই ছবি পূবেও। ক্রিস্টমাসে মেতেছেন চিনের বাসিন্দারা।