ভোটকৌশলীকে এখনই ছাড়ছেন না নেত্রী, শুক্র-সন্ধ্যায় ঘণ্টা তিনেক বৈঠকে Mamata-Prashant
ভোটের পর 'এক নেতা এক পদ' নীতি চালু শুরু করেছে তৃণমূল (TMC)। জেলাতেও সেই হিসেবে সংগঠনে বদল আনা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী সপ্তাহে জেলাস্তরের সাংগঠনিক রদবদলের আগে ভোটকৌশলীর সঙ্গে নেত্রীর আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
ভোটের পর 'এক নেতা এক পদ' নীতি চালু শুরু করেছে তৃণমূল। জেলাতেও সেই হিসেবে সংগঠনে বদল আনা হচ্ছে। তার আগে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, ঘণ্টা তিনেক ধরে চলে বৈঠক। জেলার সংগঠন নিয়ে প্রশান্তের মত জানতে চেয়েছেন। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়েও কথা হয়েছে দু'জনের।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বাংলায় প্রথমবার ১৮টি আসন জিতে তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। ভোটের পরই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) তালমিলে রণনীতি তৈরি হয়। আইপ্যাকের কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূল নেতাদের একাংশ আপত্তি করলেও আগাগোড়া প্রশান্তের পাশে ছিলেন অভিষেক। ভোটকৌশলীর মস্তিষ্কপ্রসূত 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়', 'বাংলার গর্ব মমতা', 'দিদিকে বলো'র মতো কর্মসূচিতে নতুন উদ্যম পায় শাসক দল। সেই সঙ্গে নবান্নের তরফে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প। অমিত শাহ ২০০টি আসনপ্রাপ্তির দাবি করলেও বিজেপি একশোও পেরোবে না বলে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন প্রশান্ত। কার্যক্ষেত্রে হলও তাই। বিজেপি থমকে যায় ৭৭ আসনে। দুশোর বেশি আসন পেয়ে হ্যাটট্রিক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইপ্যাকের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় তৃণমূল। ভোটের পর ভোটকৌশলীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রশান্ত। কিন্তু ভরসার পাত্র প্রশান্তকে সম্ভবত এখনই ছাড়তে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মমতার ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে ক'দিন জেলে কাটিয়ে আসব, রক্ষী-মৃত্যু FIR নিয়ে Suvendu