স্কুলছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দম্পতিকে গ্রেফতার
স্কুলছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা। এই অভিযোগে দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিস। ফুলবাগান থানা সূত্রে খবর, অবস্থাপন্ন বাড়ির কিশোরটিকে টাকার লোভেই ফাঁসিয়েছিলেন তরুণী। কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েও নেন। আরও টাকার দাবিতে ব্ল্যাকমেল করাতেই কিশোর আত্মঘাতী হয়েছে বলে সন্দেহ।
ওয়েব ডেস্ক: স্কুলছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা। এই অভিযোগে দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিস। ফুলবাগান থানা সূত্রে খবর, অবস্থাপন্ন বাড়ির কিশোরটিকে টাকার লোভেই ফাঁসিয়েছিলেন তরুণী। কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েও নেন। আরও টাকার দাবিতে ব্ল্যাকমেল করাতেই কিশোর আত্মঘাতী হয়েছে বলে সন্দেহ।
স্কুলের খাতার পাতায় প্রেমের অঙ্গীকার। ফোটোগ্রাফ, ভিডিওয় প্রেমের প্রমাণ। বলা যেতেই পারে 'এক ছোটি সি লাভস্টোরি'। কিন্তু, এই প্রেমের আড়ালে লুকিয়ে নিষ্ঠুর প্রতারণা। পরিণতি বড়ই করুণ।
নারকেলডাঙা স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্র অভ্রনীল বিশ্বাস। প্রতিবেশি মুন বিশ্বাসের সঙ্গে আলাপ বছর খানেক আগে। বন্ধুরা বলছেন, পড়া বোঝানোর অজুহাতে অভ্রনীলকে কাছে টেনেছিলেন মুনই। লক্ষ্য ছিল অভ্রনীলের প্রোমোটার বাবার বিপুল সম্পত্তি।
খেলাটা পুরনো। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গোটা দিন মুনের বাড়িতে কাটাত এই কিশোর। সেই সুযোগে মুন হাতিয়ে নেন, হাজার হাজার টাকা,শাড়ি-গয়না-মোবাইল। সংসারে টাকা আসছে দেখে আপত্তি করেননি মুনের স্বামী দিব্যেন্দুও।
কিন্তু, লোভের শেষ নেই। মুনের দাবি আরও বেড়ে যায়। একদিন টাকা চুরি করার সময় বাড়িতে ধরা পড়ে গিয়ে চাপে পড়ে যায় অভ্রনীল। কিন্তু মুন মানতে নারাজ। অভ্রকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন তিনি। গত মঙ্গলবার বাড়িতেই উদ্ধার হয় অভ্রনীলের ঝুলন্ত দেহ। রবিবার রাতে মুন আর তার স্বামী দিব্যেন্দুকে গ্রেফতার করেছে ফুলবাগান থানার পুলিস। মুন আর দিব্যেন্দুকে এগারোই জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত।