বছর ঘুরলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জারি শাসকদলের আস্ফালন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর শাসক দলের চোখরাঙানি। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা সত্বেও যে এতটুকুও কমেনি তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। রায়গঞ্জ, রামপুরহাট কলেজের পরম্পরা মেনে খোদ কলকাতার বুকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা বুকফুলিয়া তাণ্ডব চালাল, তারা শাসকদলেরই ছাত্র সংগঠনের নেতা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর শাসক দলের চোখরাঙানি। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা সত্বেও যে এতটুকুও কমেনি তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। রায়গঞ্জ, রামপুরহাট কলেজের পরম্পরা মেনে খোদ কলকাতার বুকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা বুকফুলিয়া তাণ্ডব চালাল, তারা শাসকদলেরই ছাত্র সংগঠনের নেতা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি চলবে না। বজায় রাখতে হবে শিক্ষার পরিবেশ। ক্ষমতায় আসার পর বারবার এই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা যে তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। কখনও উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা তিলক চৌধুরি, কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, আবার কখনও রামপুরহাট কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য সমর্থকদের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের ঘটনা। যেখানে খোদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক-সহ অন্যান্য পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে উঠল ভাঙচুর, তাণ্ডবের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন কমানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের ঘরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সিসিটিভিতে যাতে কোনও প্রমাণ না-থাকে, সেজন্য নিরাপত্তা আধিকারিকের ঘরে গিয়ে সার্ভার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
রায়গঞ্জ কলেজে ঢুকে যখন প্রথম পেশি শক্তির আস্ফালন দেখিয়েছিলেন শাসক দলের নেতারা তখন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার বদলে ছোট্ট ঘটনা বলে এড়িয়ে যায় সরকার। আর সরকারের এই ভূমিকা এধরনের ঘটনার প্রবণতা বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। বাস্তবেও ঘটে তাই। রামপুরহাট, ভাঙড় কলেজে ফের পেশি শক্তির আস্ফালন করে শাসকদলের নেতা-নেত্রী সমর্থকরা। তবে রবীন্দ্রভারতীর ক্ষেত্রে প্রশাসনকে দেখা গেল ব্যতিক্রমী ভূমিকায়। মু্খ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ টিএমসিপি নেতাকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারাও দিয়েছে পুলিস।