জামিয়াতে পুলিস ঢোকায় গণতন্ত্র হত্যা হয়েছিল, তারাই বলছে, সরকার কোথায়? খোঁচা দিলীপের
সিএএ বিক্ষোভ ঘিরে জ্বলছে দিল্লি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির হিংসায় বিজেপি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। পাল্টা বিরোধীদেরই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। দাবি করলেন, এদের সঙ্গেই তো সেলফি তুলেছিলেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সটান বলেন,''যারা পুলিসকে পাথর মারছে, গুলি করছে, তাদের কি জেরে চা খাওয়ানো উচিত ছিল? এই ধরনের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা দরকার।''
সিএএ বিক্ষোভ ঘিরে জ্বলছে দিল্লি। বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে কারফিউ। একাধিক এলাকা থেকে আসছে সংঘর্ষের খবর। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। এই পরিস্থিতির জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,''যারা জামিয়াতে পুলিস ঢুকে লাঠি চালিয়েছিল বলে গণতন্ত্র হত্যা হয়ে গেল, শিক্ষাঙ্গনে পুলিস ঢুকে গেল বলেছিলেন, তাঁরাই এখন বলছেন, সরকার কোথায়? জামিয়া থেকে ধৃত ১০ জনই ছাত্র ছিল না। ওদের সঙ্গে তো তখন সেলফি তুলেছিলেন বিরোধী নেতারা। সরকার অনেক সহ্য করেছে, আর না। বিদেশের পয়সায় বিরিয়ানি খেয়ে দেশে আগুন লাগাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।''
বিজেপি নিশানা করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, উনি একনজ কর্মচারী। অধীরবাবু সনিয়া গান্ধীর কাছে চাকরি করেন।
অমিত শাহের সঙ্গে ভুবনেশ্বরে বৈঠক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে এদিন তিনি বলেন,''যা চলছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কেন চলছে আমি জানি না। আমরা নজর রাখছি। আমি মনে করি, সবার শান্তি বজায় রাখা দরকার। আমাদের দেশ শান্তির দেশ। মানবতার দেশ। সবাইকে নিয়ে চলার দেশ। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে হিংসার কোনও স্থান নেই।"
আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে সিএএ নিয়ে কথাই হয়নি, ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতে নারাজ ট্রাম্প