নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না, ওখানে গেলেই মুশকিল, Mamata বুঝে গিয়েছে : দিলীপ ঘোষ
"টিএমসির কোনও নেতা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না। ভয়ে। প্রাইমারি স্কুলের চাকরি হল না। এদিকে নেতারা টাকা নিয়ে বসে আছে। খালি মিডিয়া গরম করে তৃণমূল। সাধারণ মানুষ খুঁজছে টিএমসি নেতাদের। পেলেই প্রশ্ন করবে। "
নিজস্ব প্রতিবেদন- ২১-এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার রাজনীতির জমি। একের পর এক গরমাগরম বক্তব্য দিচ্ছেন তৃণমূল ও বিজেপি শিবিরের নেতারা। ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ির খেলা চলছে যেন! এদিন যেমন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে খেললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেরর বিরুদ্ধে কার্যত তিনি গোলাগুলি ছোঁড়া শুরু করলেন। দুর্নীতি থেকে শুরু করে উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, দিলীপ ঘোষের এদিনের বক্তব্যে কোনও অভিযোগই যেন বাদ ছিল না।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, বিজেপির নেতারা বাংলার যে সব জায়গায় গিয়ে সভা করবেন, সেখানে পাল্টা সভা করবে তারাও। এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''আমরা এগিয়ে গিয়েছি, সরকার পিছনে চলছে আমাদের। তাই তো দাঁড়াচ্ছে নাকি! আমরা যেখানে যাব, তৃণমূল সেখানে যাবে। আমরা ভোটের প্রচার চালাব। জায়গায় জায়গায় গিয়ে চালাব। তাতে তৃণমূল কী করল আমরা ভাবছি না।''
৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম সফরের কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়েছে। যাবেন সুব্রত বক্সি। তবে শহিদ স্মরণে কর্মসূচি যে প্রতিবারের মতো এবারও হবে তা তৃণমূল শিবিরের তরফে জানানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন, তাই নন্দীগ্রাম যাবেন না। ওখানে গেলে তাঁকে হাজার প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। যে নন্দীগ্রামকে ভাঙিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে সেখানে কী করেছেন! নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না। ওখানে গেলেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে। এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন ভালভাবে।''
আরও পড়ুন- সমস্ত শক্তির একত্রিত হওয়াটাই উচিত: Partha, BJP-কে ভয় পেয়েছে: Dilip
দুয়ারে সরকার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রাজ্য সরকারে এই প্রকল্প সফল বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন, ''মেলা-টেলা-লীলা হয় না অনেকদিন। তৃণমূল পার্টির লোক কামাবে এসব ক্যাম্প থেকে। ৫০ হাজার কোটি বাজেট স্বাস্থ্যসাথীর। এদিকে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ১২ হাজার কোটি। ঢপের রাজনীতি আর চলবে না। সাধারণ মানুষ এখন সব বোঝে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এই রাজ্যে স্বাস্থ্য সেবা নাকি ভাল! তা হলে ক্যাম্পে, বেসরকারি হাসপাতালে এত ভিড় কেন! আসলে এসব ক্যাম্প করে রাজ্য সরকার ডেটা সংগ্রহ করছে। পরে নির্বাচনী প্রচার করবে।''
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের ব্যাপারে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''আমরা মানুষের কাছে যাব। বিজেপির শক্তি আছে সবাইকে দলে নেওয়ার। আমরা চাইলে একাই নির্বাচন জিততে পারতাম। কাউকে দলে না নিয়েও তৃণমূলকে হারাতে পারব। কিন্তু তৃণমূল থেকে যে আসতে চাইছে আমরা নিচ্ছি। বাংলার উন্নয়ন করবেন বলে তারা আসতে চাইছেন। আমরা তাদের সুযোগ দিচ্ছি।''
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হলে ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি। এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, ''আমরা কাউকে ফাঁসি দিতে চাই না। বেঁচে থাকুন। বাংলার কী দুর্গতি করেছেন সেটা দেখুন। এটাও দেখবেন, বাংলায় বিজেপি এলে কেমন উন্নয়ন হয়! টিএমসির কোনও নেতা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না। ভয়ে। প্রাইমারি স্কুলের চাকরি হল না। এদিকে নেতারা টাকা নিয়ে বসে আছে। খালি মিডিয়া গরম করে তৃণমূল। সাধারণ মানুষ খুঁজছে টিএমসি নেতাদের। পেলেই প্রশ্ন করবে। "