বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ বনাম 'অন্যান্য' প্রকাশ্যে! ধুনো দিলেন অভিষেক

বাবুল-দিলীপ অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। 

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Jan 13, 2020, 11:26 PM IST
বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ বনাম 'অন্যান্য' প্রকাশ্যে! ধুনো দিলেন অভিষেক

নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনি কখনও বলেন গরুর দুধে সোনা আছে। কখনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে গুলি করার নিদান দেন। বিজেপির বঙ্গসভাপতির এমন মন্তব্যে দলের ভেতরেই এখন তীব্র ক্ষোভ। দিলীপকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সবমিলিয়ে নয়া সভাপতি নির্বাচনের আগে ডামাডোল চরমে। আর বিজেপির ডামাডোলে ধুনো দেওয়ার কাজ করেছে তৃণমূলও। সভাপতি পদে দিলীপের সেকেন্ড ইনিংস কি তবে অধরাই থাকবে?

চলতি সপ্তাহেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব নেবে নতুন সভাপতি। এই পদে দিলীপ ঘোষকেই পুনর্বহাল করা হবে, নাকি উঠে আসবে নতুন মুখ? এই প্রশ্নে সরগরম গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল। দিলীপের নেতৃত্বেই রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। বেড়েছে আসনও। কিন্তু এই দিলীপ ঘোষের মন্তব্যই বিভিন্ন সময়ে বিড়ম্বনাও বাড়িয়েছে। গত ক-মাসে দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে দলের মধ্যেই মতভেদ তৈরি হয়েছে। দিলীপ কখনও বলেছেন, গরুর দুধে সোনা আছে। কখনও আবার সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছেন। সভাপতির এই বক্তব্য বাংলার রাজনীতিতে বেমানান। দিলীপ বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছেন, প্রকাশ্যেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর টুইট,''দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, তা নিয়ে দল হিসেবে বিজেপি'র কিছুই করার নেই। উত্তরপ্রদেশ, অসমে বিজেপি সরকার কখনও কারোর ওপর গুলি চালায়নি, তা সে যে কারণেই হোক না কেন। দিলীপদার এমন মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।'' 

সভাপতি অবশ্য অবস্থানে অনড়। দিলীপের সাফ কথা, ভুল কিছু বলেননি। দলীয় লাইন মেনেই মন্তব্য করেছেন। 

বাবুল-দিলীপ অন্তর্কলহের সুযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। টুইটারে লিখেছেন,''নিজের দলের চরিত্রই প্রকাশ করে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাঁর দলের সাংসদই সভাপতিকে অস্বীকার করছেন। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। দিলীপবাবু জানান, তাঁর মন্তব্য ব্যক্তিগত না দলীয়।''        

এহেন প্রেক্ষাপটে দিলীপকে নিয়ে সংশয় বেড়েছে দিল্লিরও। কারণ, দিলীপের মন্তব্যে দলেই মতবিরোধ। দিলীপ ঘোষ এখন সাংসদ, নিয়মিত দিল্লি যেতে হচ্ছে। একুশের বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে একজন সভাপতির একমাত্র কাজ রাজ্যের মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা। তা দিলীপের পক্ষে সম্ভব নয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রাজ্যে ভূপেন্দ্র যাদবকে দূত হিসেবে পাঠান অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপির ১৫ শীর্ষ নেতানেত্রীর সঙ্গে তিনি কথাও বলেছেন। দিল্লি ফিরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছেন ভূপেন্দ্র যাদব। দিলীপের প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নে হঠাত্ করেই তাই আশঙ্কার কালো মেঘ।

আরও পড়ুন- ২০১৯ সালে চিকিত্সা পরিষেবায় বাকি হাসপাতালদের পিছনে ফেলেছে SSKM

.