Dilip Ghosh: 'নাচা-গানা-মস্তি, মমতাকেই দেখেই অনুপ্রাণিত মদন', কটাক্ষ দিলীপের
কাশফুল নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও কাশফুল শিল্পের তত্ত্বে অনড় মমতা। এদিন সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'উনি খুব দূরদর্শী। অনেক ভবিষ্যৎবাণী করেন। দুর্ভাগ্যবশত সেগুলো সফল হতে আমরা দেখিনি।'
অয়ন ঘোষাল: হাওড়ার এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশফুল প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “কেমিক্যাল দিয়ে রিসার্চের ব্যাপার আছে কিনা জানি না। তবে কাজে লাগতে পারে। এগুলো সময়ে হয়, সময়ে ঝরে যায়। কিন্তু বালাপোশ, বালিশ হতে পারে এগুলো দিয়ে। যাঁদের সামর্থ্য আছে প্রচুর টাকা দিয়ে কিনবেন।” তিনি আরও বলেন, "কাশফুল আমার খুব ফেভারিট। এই কাশফুল যদি আপনি বাড়িতে ভাল করে সাজিয়ে রাখেন, কত সুন্দর লাগে না?" কাশফুল নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও কাশফুল শিল্পের তত্ত্বে অনড় মমতা।
আরও পড়ুন, Pujo Weather: পুজোয় ভাসবে কলকাতা? সপ্তমী থেকে নবমী ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
এদিন সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'উনি খুব দূরদর্শী। অনেক ভবিষ্যৎবাণী করেন। দুর্ভাগ্যবশত সেগুলো সফল হতে আমরা দেখিনি। এ ধরনের হালকা কথা বলে উনি জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেন। সেই দেখে মদন মিত্রের মতো লোকেরা অনুপ্রাণিত হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাংলার কি লাভ হচ্ছে? উনি কোনওদিন সিরিয়াস পলিটিকস করেননি। কিছু হালকা কথা এবং নাচা, গানা, মৌজ, মস্তি- এই দিয়েই চলছে।'
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী আমলাদের উদ্দেশে আরও বলেছিলেন, “এই কাশফুল হয়, তার পর উড়ে চলে যায়। কোনও কাজে লাগে না। এটাকে যদি কেমিক্যালি, টেকনিক্যালি কীসব দিতে হবে…আমি জানি না। তবে এই কাশফুল দিয়ে কিন্তু বালিশ, বালাপোশ হতে পারে। ওই বালিশ মনে হয় প্রচুর টাকা দিয়ে কিনবে যাদের ক্ষমতা আছে। সুতরাং ওই কাশফুলটাকে তোমরা কেমন ইউজ় করতে পারো দ্যাখো তো”।
পরিবহণ অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন তোলার জন্য হুমকি চিঠি সম্পর্কেও এদিন মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, 'এইসব লোকদের নিয়েই তো এরা ক্ষমতায় এসেছেন। ওনাদের নেতারাই এদের কর্মী হিসেবে এখানে ঢুকিয়েছেন। লোকে জানে একটা কাজ চলে গেলে বাংলায় সত্যিই আর কোনো কাজ নেই। অন্য রাজ্যে চলে যেতে হবে। এইভাবে কদ্দিন চালাবেন? মানুষ এবার ধৈর্যের শেষ সীমায় গেছে। রাস্তায় যোগ্য লোক বছরের পর বছর বসে আছে। এই পরিস্থিতি কারা তৈরি করেছে?'
পড়ুন আমাদের উৎসব স্পেশাল ই-ম্যাগাজিন
মানিকের ভট্টাচার্যের সিবিআই সেটিং প্রসঙ্গেও তোপ দাগেন তিনি। দিলীপ বাবুর কথায়, সিবিআই কোনও ব্যক্তি নয়। একজন না পারলে আরেকজন করবে। যে পদক্ষেপ সিবিআই নিয়েছে, যে রায় আদালত দিয়েছে, তা বেনজির। পাকা মাথার কাজ হচ্ছে। কাঁচা কাজ না। তথ্য নষ্ট করার জন্য পেশাদার সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সময় লাগবে। তারপর যখন ভিতরে ঢোকানো হবে, আর বেরনো যাবে না। অনেকে পাকাপাকি ভিতরে ঢুকে গেছে। আরও যাবে, অপেক্ষা করুন।'
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)