রিসেপশনিস্ট থেকে সারদার সর্বময় কর্তা -সেলুলয়েড ছাপানো উত্থান কাহিনি
একেবারে সাধারণ রিসেপশনিস্ট থেকে কোম্পানির সর্বময় কর্তা। সুন্দরীদের অনেককেই টপকে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ সহচরী। দেবযানী মুখার্জির উত্থানের কাহিনি হার মানাবে সিনেমাকেও। চব্বিশ ঘণ্টার হাতে সেই এক্সক্লুসিভ ছবি, যেখানে সিএমডি স্যারের সফরসঙ্গী দেবযানী ম্যাডাম। সঙ্গে চাঞ্চল্যকর নথিও।
একেবারে সাধারণ রিসেপশনিস্ট থেকে কোম্পানির সর্বময় কর্তা। সুন্দরীদের অনেককেই টপকে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ সহচরী। দেবযানী মুখার্জির উত্থানের কাহিনি হার মানাবে সিনেমাকেও। চব্বিশ ঘণ্টার হাতে সেই এক্সক্লুসিভ ছবি, যেখানে সিএমডি স্যারের সফরসঙ্গী দেবযানী ম্যাডাম। সঙ্গে চাঞ্চল্যকর নথিও।
সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন একেবারে সাধারণ কর্মী হিসাবে। কয়েক বছরের মধ্যেই একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে দেখা যেত দেবযানীকে। একই কেবিনের অফিস থেকে আউটডোর। সবজায়গাতেই ছায়াসঙ্গিনী হিসাবে থাকতেন দেবযানী। গোপন যাবতীয় কাজের একমাত্র সাক্ষী বিশ্বস্ত দেবযানী। কর্মী থেকে কার্যত মালকিন হয়ে যাওয়ার এই ঘটনা অবশ্য সহজভাবে হয়নি।
সংস্থার কর্ণধারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাজের খাতিরে দেশে বা বিদেশে দেবযানী গেলে কোনও আপত্তি নেই পরিবারের। দুহাজার আট সালে সেই চিঠি লিখেছিলেন দেবযানীর বাবা তিমির কুমার মুখার্জি।
দেবযানী বলছেন তিনি একজন সাধারণ কর্মী। বলছেন, সংস্থার কাজকর্ম সম্পর্কে তিনি নাকি বিশেষ কিছুই জানেন না। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার হাতে আসা এক্সক্লুসিভ ছবি ও নথি প্রমান করছে অন্য কথা।
ভারত সরকারের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক দুহাজার আট সালেই দেবযানী মুখার্জিকে তাঁর ডিরেক্টর আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ডিন ইস্যু করে। যে কোনও সংস্থার ক্ষেত্রে যা সর্বোচ্চ কর্তারাই পেয়ে থাকেন।
সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর হিসাবে দেবযানী দিল্লি অফিসের হিসাবপত্র দেখতে যাবেন। হিসাবে বেশকিছু গরমিলের কারণেই সংস্থার কর্তা হিসাবে তাঁর এই দিল্লি যাওয়া
দেবযানীর সম্পর্কে অ্যানাউন্সমেন্টের অডিও এবং প্রদীপ জ্বালানোর ছবি
বহু মহিলা বহু সময়ে সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। তারপর সরেও গিয়েছেন অনেকে। সেই ছবি স্পষ্ট হয়েছে আন্দামান সফরের এক অনুষ্ঠানেও।
এমনভাবে একদিকে সুদীপ্ত সেনের সফরসঙ্গী থেকে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়া, অন্যদিকে সংস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া। এখন দেবযানী পুলিসের কাছে যাই দাবি করুন না কেন, সংস্থার প্রত্যেককর্মীই জানতেন, সিএমডি স্যারের পরেই সারদার নম্বর টু- দেবযানী ম্যাডাম।