Tangra: অবশেষে খোঁজ মিলল ট্যাংরার নিখোঁজ যুবকের, দেহ পাওয়া গেল বামনঘাটায়
গত ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যংরার যুবক, ৩৩ বছরের ঝুনু রানা। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। তদন্তে নেমে দিল্লি থেকে মূল অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিস। এখনও পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রফতার করেছে পুলিস।
অয়ন ঘোষাল: গত কয়দিন এর তল্লাশী পরে ট্যংরার নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার করলো লালাবাজরের গোয়েন্দারা। KLC থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। বামন ঘাটা এলাকার কাঠ ব্রিজের কাছ থেকে এই দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। নীল রঙের ড্রামের ভিতরে দেহ ছিল।
গত ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যংরার যুবক, ৩৩ বছরের ঝুনু রানা। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিস।
তদন্তে নেমে দিল্লি থেকে মূল অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিস। এখনও পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রফতার করেছে পুলিস। দিল্লি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন গোলাম রব্বানি এবং নুর আয়েশা। পাশাপাশি কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন শেখ রিয়াজ এবং ইমরান নামে দুইজন।
পুরনো শত্রুতার জেরে যুবককে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। দিল্লি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্যাংরা থানার পুলিস। ধৃতদেরকে জেরা করে দেহটি উদ্ধার করার চেষ্টা করে তদন্তকারীরা।
সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিল, তাও জানার চেষ্টা শুরু করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে আগেই জানা যায়, মৃত যুবকের নাম ঝুনু রানা। বেশ কিছুদিন ধরে নিঁখোজ ছিলেন ওই যুবক। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও তাঁর পায়নি পরিবারের সদস্যরা। এরপরই ট্যাংরা থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Mamata Sit in Protest: কেন্দ্রের বঞ্চনা, বকেয়া আদায়ের দাবিতে ২ দিন ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী
তদন্ত করেও ঝুনুর কোনও হদিশ না মেলায় অপহরণের মামলা দায়ের করে পরিবার। এরপর ঝুনুর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস। দেখা যায়, শেষ একটি নম্বরে ফোন করেছিল ঝুনু। সেই নম্বরের সূত্র ধরে রব্বানি নামে এক যুবকের হদিশ পায় পুলিস।
আরও পড়ুন: DA Strike: ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, দীর্ঘ হল আন্দোলনকারীদের প্রতিক্ষা
রব্বানির খোঁজ নিয়ে পুলিস জানতে পারে, কিছুদিন আগেই কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছেন ওই যুবক। এরপরই ট্যাংরা থানার পুলিস যায় দিল্লিতে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় রব্বানিকে। পুলিস সূত্রের দাবি, জেরায় রব্বানি জানায় সে খুন করেছে ঝুনুকে। দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে তপসিয়ার একটি জলাশয়ে।
ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে পুলিস। খুনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পুরনো শত্রুতা।