বিদ্যুত্ নেই; জল দাঁড়িয়ে রাস্তায়, প্রতিবাদে তুলকালাম মেটিয়াব্রুজ, মাথা ফাটল বিধায়কের

কলকাতার সব রাস্তা সচল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আজও শহরে নামে অত্যাধুনিক টেলিস্কোপিক ক্রেন

Reported By: রণয় তেওয়ারি | Updated By: May 26, 2020, 10:39 PM IST
বিদ্যুত্ নেই; জল দাঁড়িয়ে রাস্তায়, প্রতিবাদে তুলকালাম মেটিয়াব্রুজ, মাথা ফাটল বিধায়কের

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে কলকাতা। বহু জায়গায় বিদ্যুত্ ছিল না, গাছ উপড়ে পড়েছিল রাস্তায়। মেটিয়াব্রুজেও সেই একই অবস্থা। বুধবার আমফানের তাণ্ডবের পর থেকে সেখানে বিদ্যুত্ নেই। এনিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মেটিয়াব্রুজের বদরতলা।

আরও পড়ুন-জুলাই থেকে স্কুল খোলার প্রস্তাব কেন্দ্রের, তবে শুধুই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ঝড়ের এতদিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুত্ আসেনি। রাজাবাগান, বদরতলার মোল্লাপড়ায় বহু জায়গায় রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। এনিয়েই প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তায় গাছ ফেলে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা অন্যদিকে, ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে আটকে পড়েন অনেকে। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে  যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনী।

পুলিস এলাকায় এসে গোলমাল থামাবার চেষ্টা করতেই শুরু হয়ে যায় ইটবৃষ্টি। গোলমালের খবর পেয়ে কাঞ্চনতলায় গিয়ে পৌঁছান বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লা। এতেই জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বেড়ে যায় ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে খালেক মোল্লার। তাঁকে একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-বাংলার ১৫ শতাংশও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত নয়, তাও সামলাতে পারল না রাজ্য!’

এদিকে, কলকাতার সব রাস্তা সচল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আজও শহরে নামে অত্যাধুনিক টেলিস্কোপিক ক্রেন। আমফান তাণ্ডবের পর যে গাছগুলো বড় রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে, তাদেরকে তুলে নিয়ে যায় এই ক্রেন।

আজ সাউদার্ন অ্যাভিনিউতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই গাছগুলোকে তোলার ব্যবস্থা করেন ফিরহাদ হাকিম। ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালানোর পর এক সপ্তাহ হতে চলল। এখনও শহর কলকাতার অনেক জায়গা বিদ্যুৎহীন। চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। কলকাতার এই বিদ্য়ুৎ বিপর্যের জন্য CESC-ই দায়ি বলে আগেই দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, কালকের মধ্যে সমস্ত জায়গায় বিদুত্ এসে যাবে বলে CESC-র তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে।

আমফানের তাণ্ডবে শহরে প্রায় ৬৫০০ গাছ পড়ে গিয়েছে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে আরও বলেন, রাস্তার ওপর যে গাছ পড়েছিল, তা কেটে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রবীন্দ্র সরোবর লেক এবং অন্য বড় পার্কের গাছগুলিকে কী করে বাঁচানো যেতে পারে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে পুরসভা। আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পার্কে গিয়ে কীভাবে গাছগুলি বাঁচানো যায় তা দেখবেন।

.