'কেন্দ্ৰকে ট্যাক্স দিই আমি', সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে দাবি গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুলের

একইসঙ্গে আরও এক প্রভাবশালীকে ডাকা হয়েছে এই পাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে। দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। 

Updated By: Nov 9, 2020, 01:58 PM IST
'কেন্দ্ৰকে ট্যাক্স দিই আমি', সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে দাবি গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুলকে। এদিন হাজিরা দিতে সিবিআই অফিসে আসে গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুল। তাকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে এনামুলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পারে গরু পাচারচক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, কোন কোন প্রভাবশালী এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এরপর তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে কলকাতায় আসার সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। করোনা আক্রান্ত বলে দাবি করে সে। সেইসময় তখন তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এরপরই এদিন নিজাম প্যালেসে আসে গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল। তাকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা গরু পাচারকাণ্ডে কোন কোন প্রভাবশালী যুক্ত, পাচারচক্রের টাকা কোথায় কোথায় যেত, তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সূত্রে খবর, এদিন একইসঙ্গে আরও এক প্রভাবশালীকে ডাকা হয়েছে এই পাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে। দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকদের কাছে এনামুল দাবি করেছে যে, "আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। চক্রান্ত চলছে। কেন্দ্ৰকে ট্যাক্স দিই আমি।"

অন্যদিকে, এদিন নিজেকে কোভিড আক্রান্ত বলে দাবি করে সেই নথি তদন্তকারী অফিসারের কাছে পেশ করে এনামুল। এরপরই তাকে বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারের কাছে যে নথি এনামুশ পেশ করেছে, তা আদৌ সঠিক কিনা, সত্যি সত্যিই সে কোভিড আক্রান্ত কিনা, তা জানার জন্য এবার তাকে বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, যদি এনামুল সত্যি সত্যিই করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে তাকে আজকের মত ছেড়ে দেওয়া হবে। নইলে তাকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে সিবিআই। আজ ফের তাকে গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গরু পাচারকাণ্ডের মাথা এনামুলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার। দিন কয়েক আগে কলকাতায় শেক্সপিয়র সরণী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনুপ মাঝির বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বহু কাগজপত্র। সেখানেই অনুপ-এনামুলের সম্পর্কের হদিস মিলেছে। আয়কর দফতরের তদন্তে উঠে এসেছে, অনুপ মাঝি মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার করত। সেই কয়লার সেফ প্যাসেজের জন্য সে সাহায্য নিত এনামুল বাহিনীর। তার ট্রান্সপোর্টেই পাচার হত কয়লা। হাজার ডিল হয়েছে কোটি টাকার ওপরে। এই নিয়ে আয়কর দফতরের কাছে তথ্য চেয়েও পাঠিয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, পাচারের ডিল হত পার্ক সার্কাস, তোপসিয়া ও নিউটাউনের কয়েকটি আবাসনে।

আরও পড়ুন, লকডাউন কাটিয়ে শুরু হচ্ছে লোকাল, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে ভিডিয়ো প্রকাশ রেলের

.