Anubrata Mandal: সিবিআই দফতরে সোমবার যাচ্ছেন না অনুব্রত, মেল করে জানালেন কারণ

 অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। জমি,সম্পত্তি, নগদ মিলিয়ে সায়গল প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালিক বলে অনুমান করা হচ্ছে। এত টাকা তারা কাছে এল কীভাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

Updated By: Aug 7, 2022, 03:22 PM IST
Anubrata Mandal: সিবিআই দফতরে সোমবার যাচ্ছেন না অনুব্রত, মেল করে জানালেন কারণ

বিক্রম দাস: সিবিআইয়ের জেরা এড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কারণ দেখিয়ে তিনি চিঠিও লিখেছেন সিবিআইকে। গোরুপাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সোমবার তাঁর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইকে মেল করে জানিয়েছেন যে তিনি অসুস্থ। তাঁর চিকিত্সা চলছে। তাই তাঁকে সময় দেওয়া হোক। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের আবেদন খতিয়ে দেখছে সিবিআই। কিন্তু তা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হল তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রত প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি সিবিআই টানা ১০ ঘণ্টা জেরা করেছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বীরভূমে তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য কেরিম খান ও তার সহযোগী জিয়াউল হক সেখকে। এদের বাড়ি থেকে বিপুল সংখ্যক জমির দলিল, কিছু দামী গাড়ির কাগজপত্র, ৪০টির বেশি ডাম্পারের নথি, বেশকিছু একাউন্টের ডিটেল, টাকা লেনদেনের কিছু নথি ও বেশকিছু নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে।

গত ৩ অগাস্ট কলকাতা ও বীরভূম মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি ও সিবিআই। বীরভূমের টুলু মণ্ডল ও কেরিম খানের বাড়ি থেকে মোট ১৭ লাখ টাকা নগদ ১০টি মোবাইল ফোন, পেন ড্রাইভ, লকারের চাবি উদ্ধার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর সিউড়িতে মোট ৩টি বাড়ি রয়েছে টুলু মণ্ডলের। মহম্মদবাজারে রয়েছে একটি প্ট্রোল পাম্প। সবকটি জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। জমি,সম্পত্তি, নগদ মিলিয়ে সায়গল প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালিক বলে অনুমান করা হচ্ছে। এত টাকা তারা কাছে এল কীভাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অনুমান করা হচ্ছে সায়গলের মাধ্যমেই গোরু পাচারের টাকা লেনদেন হতো।

গোরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রতকে ৫ বার তলব করেছিল সিবিআই। পঞ্চমবার নোটিস পাওয়ার পর তিনি কলকাতায় আসেন। কিন্তু হাজিরা দেওয়ার পরিবর্ত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাঁকে ফের নোটিস পাঠায় সিবিআই। সেই নোটিস পেয়ে হাজিরা দেন অনুব্রত। টানা ৪ ঘণ্টা তাকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। গত ১৯ মে-র ওই জেরার পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে অনুব্রত সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে যান অনুব্রত। 

আরও পড়ুন-'দু-আড়াই মাস ধরে হেনস্থা, বিরক্ত হয়ে গুলি চালিয়েছি', দাবি অভিযুক্ত জওয়ানের

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.