সালিশি সভায় মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে!
অভিযুক্ত কাউন্সিলর দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় দমদমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : খাস কলকাতায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সালিশি সভা ডাকলেন খোদ কাউন্সিলর। সেই সালিশিসভায় এক মহিলাকে মারধরের পর তাঁর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে। যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলর দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দমদম দাগা কলোনির স্বামীজি নগর এলাকায় বাবা উদয় দত্ত ও মা জয়া দত্তকে নিয়ে ভাড়া ছিলেন ঝুনু দত্ত। অভিযোগ, সম্প্রতি ওই বাড়িটি প্রোমোটিং-এ দেওয়া হয়। প্রোমোটার সৌমেন ভৌমিক তাঁদের বলেন, বাড়ি ছেড়ে দিতে। আরও বলেন, ৫ লাখ টাকা দিতে। তাহলেই নবনির্মিত ফ্ল্যাটে ঝুনু দত্তরা বাবা-মেয়ে একটি ফ্ল্যাট পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন, বাড়িভাড়া নিয়ে বিবাদ, শিশুকে ফুটন্ত ভাতের হাঁড়িতে ফেলে দিল ভাড়াটিয়া
কথা মতো ফ্ল্যাট ছেড়ে দেন ঝুনু দত্তরা। কিন্তু, তারপর থেকেই বেঁকে বসেন প্রোমোটার সৌমেন ভৌমিক। টাকা নিতে রাজি হন না তিনি। পাশাপাশি, ঝুনু দত্তদের কোনও ফ্ল্যাট দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন সৌমেন। ঝুনু দত্ত জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এরপরই ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ তারিখ রাতে তাঁদের ডেকে পাঠায়। প্রোমোটারের সঙ্গে আলোচনা করার নামেই ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন, রাতেরবেলা লুকিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েছিল স্কুলছাত্রী, শিকার হল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার
কিন্তু সেই 'সালিশি সভায়' তাঁদের কোনও কথা-ই শোনা হয় না। পৌঁছনোমাত্রই তাঁদের উপর চড়াও হন দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমেন ভৌমিক। ঝুনু দত্তের অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর হাত থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয়। মারধর করা হয় তাঁর মা জয়া দত্তকেও।
আরও পড়ুন,ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত নার্স! অ্যান্টি-ভেনম না পেয়ে মৃত্যু যুবকের
এই ঘটনায় দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ঝুনু দত্ত। তাঁর দাবি, সমস্ত ঘটনা দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ঘটে। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে থানায় আসেন তিনি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়।